স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে মাদক মামলায় দোষী সাব্যস্ত সাহিদা বেগম ওরফে রাশিদাকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র দেখাসহ ৭ শর্তে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে শর্ত ভঙ্গ করলে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। গত রোববার যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস ব্যতিক্রম এই রায় প্রদান করেন। সাহিদা বেগম ওরফে রাশিদা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাঙড়িপট্টি গ্রামের দেলোয়ারের স্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর লতিফা ইয়াসমিন।
ওই শর্তগুলো হচ্ছে, তাকে সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন অফিসারের নজরদারিতে থাকতে হবে এবং কোনো প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত থাকতে পারবেন না। শান্তি বজায় রেখে সকলের সাথে সদাচারণ করতে হবে। আদালত অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে যেকোনো সময় তলব করলে শাস্তি ভোগের জন্য প্রস্তুত হয়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির হতে হবে। কোনো প্রকার মাদক সেবন, বহন, সংরক্ষণ এবং সেবনকারী, বহনকারী ও হেফাজতকারীর সাথে মেলামেশা করা যাবে না। একই সাথে আদালত কর্তৃক প্রবেশন অফিসারের তত্বাবধানে থেকে অবস্থান অবহিত করতে হবে। এই প্রবেশন অফিসারের লিখিত অনুমতি ছাড়া নিজের এলাকার বাইরে যাওয়া যাবে না ও ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ছাড়া দেশ ত্যাগ করতে পারবেন না। এছাড়াও বাড়িতে বসে প্রবেশনকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দেখতে হবে। সেগুলো হলো, জয় বাংলা, ওরা ১১ জন, আবার তোরা মানুষ হ, আলোর মিছিল, আগুনের পরশমনি, মাটির ময়না ও গেরিলা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট বিকেলে চৌগাছা উপজেলার চাঁনপুর দেওয়ানী মোড় এলাকা থেকে রাশিদাকে ১৬ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলা হয়। এ মামলায় আসামি রাশিদার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পুনর্বাসনের জন্য শর্ত সাপেক্ষে প্রবেশন অফিসারের নিয়ন্ত্রণে তাকে প্রবেশনে মুক্তি প্রদানের আদেশ দেন বিচারক।