ব্যাকডেটে শিক্ষক নিয়োগ: চৌগাছায় পাশাপোল মডেল কলেজের এমপিও বন্ধ

0

এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)॥ যশোরের চৌগাছায় পাশাপোল মডেল কলেজে ব্যাকডেটে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে এমপিও বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। ব্যাকডেটে শিক নিয়োগ দিয়ে তাকে এমপিওভুক্ত করার চেষ্টার অভিযোগে উপজেলার পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজের অধ্যসহ সব শিক-কর্মচারীর এমপিও বন্ধ করা হয়েছে। সদ্য এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানটিতে একজন শিককে ব্যাকডেটে নিয়োগ দিয়ে এমপিও ভুক্তির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অপর একজন শিক। অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শিা মন্ত্রণালয়।
আর অভিযোগ নি®পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শিক-কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিা অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে, প্রতিষ্ঠানটির অধ্য শহিদুল ইসলামের দাবি, একজন মতাধর আত্মীয়র মাধ্যমে প্রদর্শক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে এমপিওভুক্ত হওয়া একজন অভিযোগ করেছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হলে অভিযোগকারীর শিক নিবন্ধন সনদ না থাকায় তাকে প্রভাষক পদে নিয়োগ না দিয়ে প্রদর্শক পদে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওর আবেদন করা হয়েছিল। জানা যায়, উপজেলার পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজটি সম্প্রতি এমপিওভুক্ত হয়। তবে, প্রতিষ্ঠানটির শিক তরুণ কান্তি ঘোষ শিা মন্ত্রণালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে শিক দাবি করেন, ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে রসায়নের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত থাকলেও তার জায়গায় বখতিয়ার উদ্দিন নামে অপর একজন শিককে ব্যাকডেটে নিয়োগ দিয়েছেন অধ্য শহিদুল ইসলাম। ব্যাকডেটেড নিয়োগ দেয়া শিকের এমপিওভুক্তির আবেদনও পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিষয়টি আমলে নিয়ে একজন উপসচিবকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তের সময় পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি, রেজুলেশন, ডিজির প্রতিনিধি আদেশ, টেবুলেশন শিটসহ নিয়োগকালীন সকল কাগজপত্র তদন্তের সময় যাচাই করবেন তিনি। আর মাধ্যমিক ও উচ্চশিা অধিদপ্তরকে প্রতিষ্ঠান অধ্যসহ সকল শিক কর্মচারীদের এমপিও অভিযোগ নি®পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যসহ সব শিক-কর্মচারীর এমপিও ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। তবে, অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অধ্য শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তরুণ কান্তি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নেন। পরে চলে যান। আবার ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ফিরে আসেন। আবারও চলে যান। পরে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলে তিনি আবার ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু তার নিবন্ধন সনদ ছিল না। তাই তাকে প্রভাষক নয়, প্রদর্শক পদে এমপিওভুক্তির আবেদন করা হয়েছিল। তিনি এমপিওভুক্ত হয়ে বেতন-ভাতাও তুলেছিলেন। তিনি বলেন, তরুণ কান্তির একজন ভাই সচিব পর্যায়ে কর্মরত। তিনি তদবির করে সবার এমপিও বন্ধ করিয়েছেন। নীতিমালার সকল শর্ত পূরণ করে দীর্ঘদিন অপোর পর এমপিওভুক্ত হতে পেরেছি। এখন একজনের জন্য সকলের এমপিও বন্ধ করা হলো।