আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

সীমান্তে নতুন করে সংঘর্ষে জড়াল চীন-ভারত
লোকসমাজ ডেস্ক॥ চীন-ভারতের সীমান্তে উত্তর সিকিমের নাকুলা এলাকায় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পাঁচ দিন আগের এ ঘটনায় দুপরে সেনারাই আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিবিসি জানায়, ভারতের প থেকে এটিকে অবশ্য ‘তুচ্ছ ঘটনা’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। আর চীনের প থেকে এ নিয়ে কোনো বিবৃতি আসেনি। ভারতীয় সেনা এক সংপ্তি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘নাকুলার ঘটনায় প্রতিষ্ঠিত প্রোটোকল অনুসরণ করে স্থানীয় কমান্ডাররাই বিষয়টির মিটমাট করে নিয়েছেন।’ গত সাত মাসের মধ্যে এই প্রথম ভারতীয় বাহিনীর প থেকে চীন সীমান্তে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করে নেওয়া হলো। এর আগে গত বছরের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে অন্তত ২০জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন। সেই সংঘর্ষে চীনের দিকে য়তির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। ওই সংঘর্ষের পরে সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টায় দুদেশের মধ্যে সামরিক স্তরে যে আলোচনা শুরু হয়েছিল, তা অবশ্য এখনও অব্যাহত আছে। রবিবার লাদাখের কাছে সীমান্তবর্তী চীনা শহর মালডোতে ওই আলোচনার নবম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেই বৈঠকে সীমান্ত সমস্যা সমাধানের েেত্র বিশেষ অগ্রগতি হয়েছে বলে কোনও ইঙ্গিত নেই। ভারতের প থেকে দাবি করা হচ্ছে সীমান্তের বিতর্কিত এলাকাগুলো থেকে চীনকে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং নতুন করে কোনও সামরিক স্থাপনা তৈরি করা যাবে না। কিন্তু চীন লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত সুদীর্ঘ সীমান্ত এলাকায় নতুন নতুন রাস্তা, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল পজিশন, হেলিপ্যাড স্থাপন করে চলেছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এদিকে উত্তর সিকিমের নাকুলায় চীনা ও ভারতীয় বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের খবর সামনে আসার পর ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবারও কটা করে টুইট করেছেন। তিনি এদিন সকালে টুইটারে লেখেন, ‘ভারতীয় ভূখণ্ডের ভেতরে চীন তাদের দখলদারির সম্প্রসারণ চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ মিস্টার ছাপ্পান্ন ইঞ্চি গত বেশ কয়েক মাস হলো চীন শব্দটা উচ্চারণই করেননি। হয়তো তার এখন চীন কথাটা বলার সময় এসেছে।’ সিকিম এলাকাটি চীনের পাশাপাশি ভুটান ও নেপালের মাঝের একটি ভূখণ্ড। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড রয়েছে ভারত ও চীনের মধ্যে। উভয় দেশই দাবি করে যে, অন্য দেশের ভেতরে তাদের এলাকা রয়েছে।

নেদারল্যান্ডসে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম কারফিউ, বিক্ষোভ
লোকসমাজ ডেস্ক॥ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নেদারল্যান্ডসে এ প্রথম রাতে কারফিউ জারি করা হলো। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশটির জনগণ। একপর্যায়ে বিােভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ডয়চে ভেলে জানায়, রাজধানী আমস্টারডামসহ তিনটি শহরে বিােভে নামে মানুষ। করোনার কড়াকড়ির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় তারা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আটক হয়েছেন বিপুলসংখ্যক বিােভকারী। রবিবার আমস্টারডামের উত্তর-পশ্চিমের শহর উরক থেকে এ বিােভ শুরু হয়। সেখানে একদল তরুণ একটি ভাইরাস টেস্টিং সেন্টার ভাঙচুর করে, আগুন ধরায়। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই পুরো রাজধানী শহরে বিােভ ছড়িয়ে পড়ে। বিােভ থামাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে, লাঠিপেটা করে। ঘোড়সওয়ার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কুকুর নিয়েও পুলিশকে দেখা যায়। আইন্ডহোভেন স্টেশনের বাইরে বিােভকারীরা গাড়ি পুড়িয়ে দেয় ও ভাঙচুর করে। আমস্টারডামের সেন্ট্রাল মিউজিয়াম স্কয়ারে কয়েকশ বিােভকারী জমায়েত হন। যদিও করোনা রুখতে দুজনের বেশি কোনো জমায়েত নিষিদ্ধ ছিল। মিউজিয়াম স্কয়ারকেও হাই রিস্ক জোন হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে যে কোনো মানুষকে তল্লাশি করার অধিকার পুলিশকে দেয়া হয়েছে। দেশজুড়ে পুলিশ একশর বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে। তিন হাজার ৬০০ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। কারফিউ ভাঙলে ৯৫ ইউরো জরিমানা করা হচ্ছে। শনিবার রাতে উরকে একদল তরুণ একটি পরীাকেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশকে ল্য করে তারা পাথর ছোড়ে। রিপোর্টারদের ল্য করে গোলমরিচের গুঁড়ো স্প্রে করা হয়। পৌরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, স্থানীয় মানুষের একাংশের এই ধরনের ব্যবহার মেনে নেয়া যায় না। স্বাস্থ্যকর্মীরা যথাসাধ্য করছেন। আর তারাই আক্রান্ত হয়েছেন। কর্তৃপ জানিয়েছেন, কারফিউ কড়াভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। নেদারল্যান্ডসে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৯ লাখের কাছাকাছি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৩ হাজার ৫৪০ জন।

ফাইজারের টিকার অনুমোদনদিয়েছে অস্ট্রেলিয়া
লোকসমাজ ডেস্ক॥ অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে ফাইজারের করোনাভাইরাসের টিকা অনুমোদন দিয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করবে দেশটি। খবর: বাসস। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন সোমবার এক ঘোষণায় এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, এটি জরুরি অনুমোদন নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেমনটি দেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে দেওয়া হবে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করে টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার েেত্র বিশ্বে আমরাই প্রথম।’ দেশটি তার ৫০ লাখ লোকের জন্য ১ কোটি ডোজ টিকা নিশ্চিত করেছে। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্কদের এ টিকা দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করে তা অক্টোবরে শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন মরিসন।