কলারোয়ায় জমে উঠেছে সু-ঘ্রান নলেন পাটালি ও গুড়ের হাট

0

শামসুর রহমান লালটু, কাজীরহাট(সাতক্ষীরা)॥ কলারোয়ার খোরদো বাজারে জমে উঠেছে সু-ঘ্রান নলেন পাটালি ও গুড়ের হাট। প্রাচীনকাল থেকে খোরদো বাজারে গুড়ের হাট নামে পরিচিত। শীত মৌসুমের শুরুতেই বাজারে সু-ঘ্রান নলেন পাটালি ও গুড় আসা শুরু হয়। ব্যাপারীরা এই সু-ঘ্রান নলেন পাটালি ও গুড় ক্রয়ের জন্য আগাম ঘরভাড়া নিয়ে থাকেন। শীত মৌসুমের শুরুতে খেজুরগাছ কাটা গাছিদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। খেজুর রস সংগ্রহের জন্য গাছ কাটা থেকে শুরু করে রস আহরন করে সেই রস জ¦ালিয়ে সু-ঘ্রান নলেন পাটালি ও গুড় তৈরি করা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করে এই জনপদের গাছিরা। তারা তাদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে তোলে পাটালি ও গুড়। ব্যাপারিরা এই বাজার থেকে গুড় ও পাটালি ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে থাকে। খোরদো বাজারের ব্রীজ সংলগ্ন গুড়ের হাট বসে সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও রবিবার। শীত মৌসুমে কলারোয়া উপজেলার খোরদো গুড়ের হাট বেশ জমজমাট হয়ে থাকে। গত রবিবার সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায় পাশর্^বর্তী উপজেলা মনিরামপুর ও কলারোয়ার গাছিরা তাদের তৈরিকৃত গুড় পাটালি নিয়ে বাজারে এসেছে। খোরদো বাজারের গুড়ের হাটে গুড় বিক্রি করতে আসা মনিরামপুর উপজেলার চাকলা গ্রামের অহেদ আলী জানান এখনতো আর আগের মতো খেজুর গাছ বেশি নাই যা আছে তা থেকে যেটুকু রস সংগ্রহ করতে পারি তাই গুড় ও পাটালি তৈরি করে বাজারে নিয়ে আসি। গুড় পাটালি বিক্রি করে কোন রকমে খরচটা উঠে। খোরদো গুড়ের হাটে প্রতি কেজি সু-ঘ্রান নলেন পাটালি বিক্রি হচ্ছে ৩শ টাকা থেকে সাড়ে ৩শ টাকা দামে। এ ছাড়া প্রতিভাড় গুড় বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা পর্যন্ত। গুড়ের ব্যপারিরা জানায় গত বছরের তুলনায় এ বছর গুড়ের দাম বেশি। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে খোরদো গুড় ও পাটালির বাজার।