ফের বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু

0

আবারো করোনাভাইরাসে মৃত্যু বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে আক্রান্ত ও শনাক্তের সংখ্যাও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৩ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত দৈনিক মৃত্যু ছিল ৩০-এর নিচে। এরপর ৩০-এর ঘর ছাড়ালেও এর নিচেও ছিল কয়েক দিন। অর্থাৎ দেশে ফের বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বর্তমান পরিস্থিতিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে সরকার। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কার্যকর ব্যবস্থাটি হচ্ছে সাবধানতা অবলম্বন করে চলা। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে একধরনের অনীহাই যেন দেখা যাচ্ছে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সর্বত্র বাজার ও শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি উপেতি হচ্ছে। প্রকাশিত আরেক খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া কোনো যাত্রী আনা যাবে না, আনলে জরিমানার পাশাপাশি ফাইট বন্ধ এমন কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও সনদ ছাড়া যাত্রী আসছে, আসছে করোনা পজিটিভ যাত্রীও।
এ অবস্থা চলতে থাকলে মহামারি ঠেকানো আসলেই কঠিন হবে। বিশেষজ্ঞরা বরাবরই বলছেন, আমাদের আরিক অর্থেই সব নিয়ম-কানুনের খুঁটিনাটি মেনে চলতে হবে। কোনোভাবেই ভাইরাল লোড অবহেলা করা চলবে না। অর্থাৎ করোনা প্রতিরোধে ‘নিউ নরমাল’ বা ‘নতুন স্বাভাবিকতা’ পুরোপুরি মেনে চলতে হবে। যাঁরা মৃদু আক্রান্ত হয়েছেন বা লণহীন, তাঁদেরও সাবধান হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই এ রকম মৃদু বা লণহীন। তাই আমাদের দেশের বিপদ থাকছেই। পুরো শীতকালের সময়টা সবাইকে খুবই সাবধানে থাকার ব্যাপারে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী দিনগুলোতে ব্যাপকসংখ্যক মানুষের আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যু প্রতিরোধে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধিগুলো কঠোরভাবে মানতে হবে। সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আমাদের নাগরিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সবার সচেতনতায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।