খুলনার বাজারে কমেছে সবজির চাহিদা, মাছের দাম চড়া

0

খুলনা সংবাদদাতা॥ গত কয়েক দিন শীতের তীব্রতা বাড়ায় খুলনার বাজারগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে। শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ ও দাম আগের মতো থাকলেও বিক্রি হচ্ছে কম। ফলে নষ্ট হচ্ছে অনেক সবজি। অন্যদিকে সরবরাহ কমায় মাছের দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। মাছের বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকছেন বলেও অভিযোগ ক্রেতাদের। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, বাজারে এখন প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। শুরুতে শীতকালীন এই সবজির দাম বেশি থাকলেও এখন ক্রেতাদের তেমন একটা চাহিদা নেই। বেশিরভাগ ক্রেতা এখন ঝুঁকছেন লতাজাতীয় সবজির দিকে।
এ ছাড়া প্রতি পিস বিটকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২০, লাউ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। প্রতি কেজি শিম ২৫ টাকা, মুলা ১০, কুশি ৪০, ঝিঙে ৩০ টাকায়, বেগুন ৩০ টাকায়, কাঁচা টমেটো ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, পেঁপে ৩০ টাকায়, কচুরমুখী ৪০ টাকায় ও নতুন আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা সোলায়মান দাদো জানান, বাজারে কোনো সবজির কমতি নেই। সরবরাহ এত পরিমাণ বেড়েছে যে, ক্রেতার সংখ্যা সেই তুলনায় বাজারে নেই। ফলে অনেক সময় সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই বাজারের অপর বিক্রেতা গোলাম রসুল বলেন, বাজারে এখন সবজি ক্রেতার অভাব দেখা দিয়েছে। নতুন আলু বাজারে আসায় ক্রেতারা সে দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। ফুলকপি, বাঁধাকপি, বিটকপি ও লাউয়ের দিকে এখন আর কারও তেমন একটা নজর নেই।
খুলনা মহানগরীর মিস্ত্রীপাড়া বাজারে আসা গৃহবধূ শাহেদা জাহান জানান, গত দু-তিন দিন শীত একটু বেশি পড়ছে। সকালের দিকেও কুয়াশা পড়েছে। যে কারণে বাজারে আসা হয়নি। আজ এসেছি কিছু লতা জাতীয় সবজি কিনতে। লাল শাক, লাউ শাক আর পুঁই শাক কিনেছি। নিরালা বাজারে সবজি কিনতে আসা বসুপাড়া বাঁশতলা এলাকার বাসিন্দা এস এম জাহিদ হোসেন বলেন, ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখন খুব একটা ভালো লাগে না। তাই লতা জাতীয় সবজি কিনতে এসেছি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তবে লতা জাতীয় সবজির দাম আগের তুলনায় একটু বেড়েছে।
নগরী টুটপাড়া জোড়াকল বাজার সবজি বিক্রেতা আইয়ুব হোসেন জানান, সপ্তাহখানেক আগেও চড়া দাম দিয়ে পাইকারি মূল্যে সবজি কিনতে হয়েছে। কিন্তু এখন সেই সবজির দাম অনেক কমে গেছে। এই বাজারে মাছ কিনতে আসা রাহেলা সাঈদ জানান, বাজারে এখন সব মাছের দাম ঊর্ধ্বমুখী। মাঝে মধ্যে চিংড়ি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। পারশে মাছ ও টেংরা মাছ সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। অন্যান্য মাছেরও দাম কিছুটা বাড়তি। এছাড়া বিক্রেতা যে যেভাবে পারছে দাম নিচ্ছে। এই বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্দুল মালেক জানান, পানি না থাকায় খাল-বিলের মাছ এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবছর শীতের এই সময় মাছের আকাল দেখা দেয়। মোকামগুলোতে এক মণ মাছ এলে খুচরা বিক্রেতারা কেনার জন্য পাগল হয়ে যায়। সঙ্গত কারণেই মাছের দাম বেড়ে যায়। ফলে বেশি দামে বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।