বিনামূল্যের টিকাতে করোনা রোধের সুখবর

0

সারা পৃথিবীর মানুষের অধীর অপো এখন করোনার টিকা নিয়ে। উন্নত উন্নয়নশীল অনুন্নত নির্বিশেষে রাষ্ট্রগুলো ব্যতিব্যস্ত নিজ নিজ দেশের মানুষদের জন্য করোনার টিকা জোগাড় নিশ্চিত করা নিয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ স্বাস্থ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জোট আর দাতব্য সংস্থাগুলোও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর সব মানুষের জন্য টিকা নিশ্চিত করতে। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ বড় ধরনের সুখবর পেল সোমবার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কভিড-১৯ এর যে তিন কোটি ডোজ টিকা সরকার কিনতে যাচ্ছে, তা মানুষকে বিনামূল্যে দেওয়া হবে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল বৈঠকের পর সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বলাবাহুল্য যে, মার্চে দেশে করোনা মহামারীর প্রকোপ শুরুর পর থেকে একদিকে করোনার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবায় নানা দুর্ভোগ, আরেকদিকে বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছিল। প্রথম পর্যায়ে সরকার করোনার যে টিকা কিনতে যাচ্ছে সেসব বিনামূল্যে দেওয়ার এই ঘোষণা এখন মানুষের মনে আশা জাগাবে। ভালো খবর হলো অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র এই টিকা দুই থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরণযোগ্য, যা বাংলাদেশে বিদ্যমান। সরকারের প থেকে আরও জানানো হয়েছে করোনার টিকা কাদের আগে দেওয়া হবে, তা ঠিক করা হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী। মানুষের শরীরে এই টিকাটির দুটি ডোজ প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজটি প্রয়োগ করতে হবে। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে প্রথম পর্যায়ে সরকার যে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনছে সেসব দিয়ে মোট দেড় কোটির মতো মানুষকে টিকার আওতায় আনা যাবে। সুষ্ঠুভাবে এই টিকা সংরণ ও টিকা প্রদান কার্যক্রম নিঃসন্দেহে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। তাই এ বিষয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি ও সচেতনতা জরুরি। সরকার বলছে, টিকার পর্যায়ভিত্তিক প্রাপ্যতা বিবেচনা করে প্রাথমিকভাবে কভিড-১৯ সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী তথা কভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখসারির কর্মী, রোগপ্রতিরোধ মতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী, শিাকর্মী এবং গণপরিবহনকর্মীরা টিকাপ্রাপ্তির েেত্র অগ্রাধিকার পাবেন। আর টিকাদান কার্যক্রম শুরুর আগে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন ও টিকা প্রদানে জাতীয় পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করবে সরকার। দেশে করোনার চিকিৎসায় প্রথম দিকের হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি আর পিপিই বা সুরা-পোশাক ও মাস্ক বিতরণ ও ব্যবহারে যেসব অনিয়ম দেখা গিয়েছিল, টিকার েেত্র যাতে তেমনটা না ঘটে এজন্য প্রশাসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।