বন্ডের বেচাকেনা আকর্ষণীয় করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ উদ্যোগ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সরকারি সিকিউরিটিজগুলোর মধ্যে থেকে নির্বাচিত ৩০টি বন্ডকে মাপকাঠি (বেঞ্চমার্ক) ধরে ক্রয় ও বিক্রয়মূল্য আলাদা করে প্রকাশ করতে প্রাইমারি ডিলার ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে একটি নির্দেশনা জারি করেছে।এর ফলে সেকেন্ডারি মার্কেটে বন্ড বিক্রি করে তাৎক্ষণিকভাবে কী পরিমাণ টাকা পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত হতে পারবেন গ্রাহকরা।
এতে করপোরেট বা বেসরকারি খাতের বন্ডের বেচাকেনাতেও যথেষ্ট উন্নতি হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে আমানতের সুদের হার তলানিতে। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগসীমার অতিরিক্ত টাকা বিনিয়োগের জন্য এখন অনেকেই বন্ডে ঝুঁকছেন। কিন্তু বন্ডের বাজার দর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় বন্ডে প্রকৃত বিনিয়োগ আনা সম্ভব হচ্ছে না। বুধবার বিদ্যমান ট্রেজারি বন্ডগুলোকে শূন্য থেকে দুই বছর, দুই বছরের ঊর্ধ্ব থেকে পাঁচ বছর, পাঁচ বছরের ঊর্ধ্ব থেকে আট বছর, আট বছরের ঊর্ধ্ব থেকে ১০ বছর, ১০ বছরের ঊর্ধ্ব থেকে ১৫ বছর এবং ১৫ বছরের ঊর্ধ্ব থেকে ২০ বছর—এই ছয়টি ভাগে ভাগ করে একটি বেঞ্চমার্ক নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজারে বিদ্যমান ২৬৯টি ট্রেজারি বন্ড থেকে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রতিটি ভাগ থেকে পাঁচটি করে মোট ৩০টি বন্ড বেঞ্চমার্কের জন্য নির্বাচন করা হয়। জানা গেছে, বন্ডের মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে এর মুনাফা হার সাত শতাংশ পর্যন্ত আছে। তবে সেকেন্ডারি মার্কেটে এই হার কতটুকু কমছে বা বাড়ছে, তা জানতে বন্ড কেনা ও বেচার জন্য আলাদা আলাদা দর প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। এতে বন্ডের ক্রেতা বা গ্রাহক প্রতি মূহূর্তে বন্ডের বাজার দর জানতে পারবেন।