সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নই প্রকৃত উন্নয়ন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্ট বা বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণ অবশ্যই উন্নয়ন, কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নই প্রকৃত উন্নয়ন। দেশের মানুষ দারিদ্র্য, বৈষম্য, দলবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও বেকারত্ব থেকে এখনো মুক্তি পায়নি। তাই দেশের মানুষের মুক্তি সংগ্রাম এগিয়ে নিতেই জাতীয় পার্টির রাজনীতি। শনিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ জনদলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, অনেক মানুষ টাকার অভাবে সন্তানের চিকিৎসা করতে পারে না, আবার অনেকেই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। সুশাসন নিশ্চিত হলে কোনো মানুষ বঞ্চিত হতে পারে না। আইনের শাসনের অভাবে রাস্তায় বের হলেই মানুষ খুন, গুম ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সুশাসন এবং রাষ্ট্রের সকল স্তরে জবাবদিহি নিশ্চিত করে জাতীয় পার্টি গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে বলেও জানান জিএম কাদের। এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। দেশের মানুষ উন্নয়ন ও সুশাসনের জন্য জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ, তারা বিশ্বাস করে জাতীয় পার্টিই উন্নয়ন এবং সুশাসন একসাথে দিতে পারে। দেশের মানুষ হতাশায় নিমজ্জিত, তারা শান্তি চায়-স্বস্তি চায়।
তিনি বলেন, নির্বাচন হচ্ছে সরকার পরিবর্তনের একমাত্র প্রক্রিয়া। তাই গণমানুষের আস্থা অর্জন করেই জাতীয় পার্টি রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। নির্বাচন ব্যবস্থার সমালোচনা করে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, সংবিধানিকভাবে হয়তো কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু শতকরা ২ ভাগ থেকে ১০ ভাগ ভোট কাস্টিং কখনো নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-মহাসচিব ফকরুল আহসান শাহজাদা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান, যুগ্ম-দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক। বাংলাদেশ জনদলের (বি.জে.ডি) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, মহাসচিব সেলিম আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব ও মুখপাত্র এস এম হারুন অর রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান হাবিব, আবুল হাসেম সরকার।