ভুয়া চিকিৎসকদের ধরতে হবে

0

রোগগ্রস্ত সাধারণ মানুষ অনেক সময় যথেষ্ট দুর্বল ও অসহায় হয়ে পড়ে। এমনিতেই ডাক্তার-ওষুধ এসব করতে তাদের খুব একটা গরজ থাকে না। দু-চারদিন অসুখে না ভুগলে শারীরিক সমস্যাকে উপো করে যেতেই তারা পছন্দ করে। একান্ত বাধ্য না হলে চিকিৎসা গ্রহণের পথ তারা মাড়ায় না। যখন সত্যি সত্যি তারা হাসপাতালমুখো হয়, তখন রোগ অনেকটাই তাদের কব্জা করে ফেলে। তখন তাদের অসহায়ত্ব অনেক বেড়ে যায়। চিকিৎসার নামে তখন যদি তারা অপচিকিৎসা পায়, আর চিকিৎসকের বদলে অপচিকিৎসকদের কবলে পড়ে তাহলে সাড়ে সর্বনাশ ঘটে যায়। দেশে এখনও চিকিৎসা নেয়া মানে পদে পদে সমস্যা ও বাড়তি খরচের বোঝা। ল্যাবরেটরি পরীাতেও বাড়তি খরচ আর অসাধুতার দৃষ্টান্ত মেলে। ভেজাল ওষুধও দেদার বিক্রি হয় সর্বত্র। মাঝেমধ্যে র‌্যাব-পুলিশ অভিযানে নামে, তাতে কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসে। সাধারণ মানুষের জন্য অসুখে সুচিকিৎসা পাওয়া এখনও কঠিন। অবশ্য সরকারী হাসপাতালগুলো এখন দরিদ্র মানুষের বড় সহায় হয়ে উঠছে। সরকারও স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ জোর দিয়েছে। তবে করোনাকালে চিকিৎসা েেত্র দুর্বৃত্তায়নের দুঃসংবাদ আমাদের ুব্ধ করে। শুক্রবার ঢাকার একটি দৈনিকে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের স্বল্পমূল্যে উন্নত চিকিৎসার কথা বলে একটি চক্র রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবরে তিনটি হাসপাতালে নিয়ে যেত। এসব হাসপাতালের পরিবেশ নোংরা, অস্বাস্থ্যকর। ফোরে রক্তমাখা কাপড় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এমনকি রোগীর অস্ত্রোপচার করে ডাক্তার নয়, ওয়ার্ডবয়। আরেক হাসপাতালে এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করে একজন বনে গেছেন একাধারে হাসপাতালটির পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। রোগীদের ভাঙ্গা হাত-পায়ের এক্সরে দেখে অপারেশনের সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই নিতেন। এ রকম অপচিকিৎসাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে তিনটি বেসরকারী হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানকালে ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়েছে। দুটি হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছে। শুধু রাজধানী নয়, সারাদেশে এ অবস্থা বিরাজ করছে। যশোরেও ভুয়া চিকিৎসকের অপচিকিৎসা চলছে। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।