ভারতের ভিসা পেতে আইসিসির দ্বারস্থ পাকিস্তান

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ দীর্ঘ সময় দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নেই ভারত-পাকিস্তানের। অদূর ভবিষ্যতেও হবে কিনা, তাতেও ঘোর সংশয়। আইসিসি কিংবা এশিয়ার ইভেন্ট দিয়ে প্রতিবেশী দেশ দুটির খেলা দেখার সুযোগ হয় ক্রিকেটভক্তদের। কিন্তু এবার আইসিসি ইভেন্ট নিয়েও সংশয়! ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতে, এই প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ভিসা পাওয়া নিয়ে তৈরি হতে পারে জটিলতা। তাই আগে থেকেই ভিসা পাওয়ার নিশ্চয়তা চেয়ে আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আগামী বছরের অক্টোবরে ভারতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পাকিস্তানের দরকার ভারতের ভিসা। কিন্তু দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনে খেলোয়াড়দের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই ঝামেলা দূর করতে আইসিসির দারস্থ হয়েছে পিসিবি। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান জানিয়েছেন, তারা ভারতের ভিসা পাওয়ার ব্যাপারে আইসিসির নিশ্চয়তা চান এবং ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কাছ থেকে উত্তর জানতে অপেক্ষা করবেন ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত।
ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক উত্তাপে ভিসা পেতে সমস্যা হতে পারে পাকিস্তানি খেলোয়াড় ও স্টাফদের। বিষয়টি আইসিসির ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন পিসিবির প্রধান নির্বাহী, “এটা আইসিসি ব্যাপার। আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা তাদের জানিয়েছি। ‘হোস্ট অ্যাগ্রিমেন্টে’ পরিষ্কার বলা আছে, আয়োজক দেশ (ভারত) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা সব দেশের খেলোয়াড়দের ভিসা ও থাকার ব্যবস্থা করবে। পাকিস্তান সেই দেশগুলোর একটি।” এরপরই ওয়াসিম যোগ করেছেন, ‘আমরা আইসিসির কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছি আমাদের খেলোয়াড়রা যেন ভিসা পায়। এখন ‍আইসিসি (ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড) বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কথা বলবে, কারণ (ভিসার ব্যাপারে) নির্দেশনা ও নিশ্চিতকরণ তাদের (ভারত) সরকারের কাছ থেকে আসবে।’ অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলেও পিসিবি আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে ভিসার নিশ্চয়তা চায়। পিসিবির প্রধান নির্বাহীর কথায়, ‘আমরা জানানোর জন্য ডিসেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছি, আমরা বিশ্বাস করি এটাই সঠিক। আমরা আশা করছি, আইসিসি এই সময়ের মধ্যেই জানাতে পারবে আমাদের খেলোয়াড় ও অফিসিয়ালরা ভিসা নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে কিনা।’ ভারতে কোনও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা হলে পাকিস্তানি অ্যাথলেটদের অংশ নেওয়াটা বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর দিল্লির শুটিং বিশ্বকাপে যেমন ভিসা না পাওয়ায় খেলতে পারেননি পাকিস্তানি শুটাররা।