যশোরে ধানের ক্ষেতে কাজ করে গরমে অসুস্থ ২ জনের মৃত্যু

0

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর ও কেশবপুর ॥ কাটা ধান বাড়ি বহন করে আনার পর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কৃষকের। মৃত জোহর আলী সরদার (৫৫) যশোরের কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামের বাহের আলী সরদারের ছেলে। গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে একই দিন সকাল ৯টার দিকে যশোর সদরের ছিলিমপুরে ধান কেটে বাড়ি এসে অসুস্থ হয়ে আহসান হাবিব (৪০) নামে এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়।
মৃত জোহর আলী সরদারের ছেলে জসিম উদ্দিন জানায়,সকাল থেকে তার পিতা মাঠে কেটে রাখা ধানের আটি কাঁধে নিয়ে বাড়িতে আনছিলেন। সকাল ১১ টার দিকে তিনি বাড়ি আসেন এবং পানি চান। পানি পানের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ওই কৃষকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।
এর আগে একই দিন সকালে যশোর সদর উপজেলার ছিলিমপুরে ধান কেটে বাড়ি এসে অসুস্থ হয়ে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত আহসান হাবিব (৪০) স্থানীয় আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন ধান কাটার সময় গরমে অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ বলেন, হিটস্ট্রোকে নয়, হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে আহসান হাবিবের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত শিক্ষকের চাচা জহুরুল ইসলাম বলেন, আহসান হাবিবের চাচা জহুরুল ইসলাম জানান, খুব সকালে মাঠে ধান কাটতে যান আহসান হাবিব। সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি আসেন এবং বলেন বুকে ব্যথা করছে। বলতে বলতে তিনি স্কুলে যাওয়ার জন্য গোসলের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু গোসলের আগে অসুস্থতা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আল হাসান বলেন, হাসপাতালে আনার আগে রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হিটস্ট্রোক কিনা এ জন্য আরও পরীক্ষা করতে হবে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ বলেন, হিটস্ট্রোকের কোন লক্ষণ মৃত আহসান হাবিবের ছিল না।