স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে

0

চীন ও ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে করোনার মহাদুর্ভোগ এখনও তার সংক্রমণের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। আর দণি এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান এখনও এই সংক্রমণের বিপে ক্রমাগত লড়াই করে যাচ্ছে। প্রথম থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল শীতপ্রধান দেশেই সংক্রমণের হার বেশি। সঙ্গত কারণেই মৃত্যুর সংখ্যাও কমানো সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে এখন শরৎকাল। পরবর্তীতে হেমন্ত ও শীতের আগমনী বার্তায় প্রকৃতিকে অন্য আঙ্গিকে নিয়ে যাবে। ঋতু বৈচিত্র্যের এই দেশে ক্রমান্বয়ে শীতও জাঁকিয়ে বসবে। আর এই শীতের মধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। শনাক্তের হার যে কোন সময় বাড়ার অশনিসঙ্কেতও আসছে। ঋতু পরিবর্তন এবং শীতের শুরুতে সর্দি, কাশি, জ্বরের প্রকোপ লেগেই থাকে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার কম হলেও সঙ্কট অতিক্রমে তেমন কোন ভূমিকা নেই। তবে সুস্থতার হার স্বস্তিদায়ক। আগাম সতর্কতা বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সর্ববিধ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে অর্থনীতির চাকা কোনভাবেই অবরুদ্ধতার আবর্তে ফেলা যাবে না। গতিশীল অর্থনীতিকে সচল করতে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন ব্যবস্থা জোরদার করার পরামর্শও এসেছে প্রধানমন্ত্রীর প থেকে। শিা প্রতিষ্ঠান আদৌ খোলা যাবে কিনা তাও নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। এ ব্যাপারে জাতীয় পরামর্শক কমিটিও স্বাস্থ্যবিধি পালনের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। এমনিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরার নিয়মনীতির ব্যাপারে এক প্রকার অবজ্ঞা গত ছয় মাসে প্রত্য করা গেছে। সামাজিক দূরত্ব না মানা থেকে মাক্স ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া মানুষ সেভাবে করোনাকে তোয়াক্কাও করছে না। যাতে বহুল সংক্রামক এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। আরও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধিকে আমলে নিতে ব্যর্থ হলে করোনার থাবা থেকে সুরা মেলা কঠিন হতে সময় নেবে না। যা বাংলাদেশকে দীর্ঘস্থায়ী করোনার ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ এখন স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে গেলেও করোনা ঝুঁকি মোকাবেলাকে এড়িয়ে যাওয়া কোনভাবেই কাক্সিত নয়। গণপরিবহন, অফিস-আদালত, রাস্তা-ঘাট, সভা-সমিতি, ব্যবসায়িক কার্যক্রম সবই নিয়মমাফিক চলা শুরু করেছে। কিন্তু ব্যত্যয় ঘটছে বার বার স্বাস্থ্যবিধি পালনের েেত্র, যা কোনভাবেই দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য স্বস্তিদায়ক নয়। এখনও সাধারণ মানুষকে মাক্স ব্যবহারে নিয়মের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। আর সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা তাও দেখা যায় না। সব কিছু বিবেচনায় রেখে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে বিশেষ সতর্ক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ এসেছে সরকারপ্রধানের কাছ থেকে। প্রতিষেধক না আসা পর্যন্ত স্বাস্থ্য সুরার নিয়মাবলী যথেষ্ট কঠোরভাবে মানতে হবে।