যশোরে শিশুরোগের প্রকোপ বেড়েছে

0

বিএম আসাদ ॥ যশোরে শিশুরোগের প্রকোপ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অধিকাংশ বাসা-বাড়িতে শিশুরা জ্বর- সর্দ্দি, কাশি ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছেন, শিশু রোগের প্রকোপ মারাত্মকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়ি বাড়ি শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, গত জানুয়াির থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৪ হাজার ৪শ’ ৮৪ জন শিশু এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে ১শ’ ৪৩ জন শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এছাড়া বহিঃবিভাগ থেকে ৮ মাসে ২৬ হাজার ১শ’ ৭২ জন শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছে ১ হাজার ১শ’ ৭৪ জন শিশু। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছে ২ হাজার শিশু। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে। রোগের লক্ষণ দেখে ও প্যাথলজি পরীক্ষা করে চিকিৎসকগণ চিকিৎসা দিচ্ছেন। শিশুদের মাঝে করোনাভাইরাস নেই বললেই চলে। দিনে ভ্যাপসা গরম আর শেষ রাতে ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় বেশিরভাগ শিশু আক্রান্ত হচ্ছে। গ্রাম-শহর সর্বত্র একই অবস্থা। ৪/৫ জন শিশুর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাও পিতা-মাতার সংস্পর্শে থেকে। জ্বর ও ঠান্ডা কাশিতে শিশুরা আক্রান্ত হলেই তাদের অভিভাবকরা ভয় পাচ্ছেন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কি-না।
এ ব্যাপারে শিশু বিশেষজ্ঞ যশোর মেডিকেল কলেজের ডা. আহমেদ ফেরদৌস জাহাঙ্গীর সুমন ও ডা. মাহফুজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তারা বলেন, জ্বর হলেই শিশুর করোনা হয়েছে। এ কথা ঠিক না। ধারণা করাও ভুল। প্রতি বছর শিশুরা এ সময় জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ও নিউমোনিয়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত হয়। এর প্রধান কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন। কখনো ঠান্ডা, কখনো গরম। এ অবস্থায় অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়ে দু’চিকিৎসক বলেন, শিশুরা তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি যতœ বোঝে না। তাদের সুস্থ থাকার জন্য অভিভাবকগণের সতর্কতা বড় নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে। তাই, শিশুদের প্রতি সব সময় নজর রাখা এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রাখার জন্য গুরুত্বারোপ করেন তারা।