মাছ ও কাঁকড়া ধরতে জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশ

0

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা ॥ পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে বিভিন্ন নদী-খালে দীর্ঘ ৬৫ দিন জেলেদের মাছ ও কাঁকড়া আহরণ বন্ধ থাকার পর গত পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় বনবিভাগের পক্ষ হতে অনুমতি দেয়া শুরু হয়েছে। এতে করে সুন্দরবন উপকূলীয় পেশাদার জেলেরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন। সুন্দরবনে পুনরায় মাছ ও কাঁকড়া ধরতে পারায় জেলে পরিবারের মধ্যে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। জেলেদের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
বুড়িগোয়ালিনী বন স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) সুলতান আহম্মেদ জানান, গত পহেলা সেপ্টেম্বর হতে এ পর্যন্ত আড়াই হাজার জেলে প্রবেশ ফি দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন। যা বিগত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। মাছ আহরণের জন্য জনপ্রতি প্রবেশ ফি ৭ টাকা এবং কাঁকড়ার জন্য ৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একজন জেলে সর্বোচ্চ ৭ দিন সুন্দরবনে মাছ এবং কাঁকড়া আহরণ করতে পারবেন। এ সময় আহরিত মাছ-কাঁকড়ার পরিমাণ হিসাব করে সরকারি রাজস্ব দিতে হবে জেলেদের। গাবুরার চকবারা গ্রামের জেলে ফিরোজ ও আবুল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন পর সুন্দরবনে মাছ-কাঁকড়া ধরতে পেরে তারা আনন্দিত। এ জন্য জেলে পরিবারে ফিরে এসেছে স্বস্তি। সাতক্ষীরা সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) এম.এ হাসান জানান, দীর্ঘদিন পর পুনরায় অনুমতি দেয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জেলে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। তাছাড়া নদী-খালে প্রচুর পরিমাণ মাছ ও কাঁকড়া পাওয়া যাচ্ছে। জেলেদের নির্বিঘেœ মাছ-কাঁকড়া আহরণের জন্য বনবিভাগের পক্ষ থেকে টহল জোরদার করা হয়েছে।