চৌগাছার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের আড়াই কিলোমিটার কাঁচা থাকায় মানুষের দূর্ভোগ

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মাত্র আড়াই কিলোমিটার কাঁচা থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অন্তত দশ গ্রামের মানুষকে। বছরের পর এই দূর্ভোগ পার করলেও যেন দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগী এলাকাবাসি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দ্রত পাকাকরনের জন্য সংশ্লিষ্ঠদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের স্বর্পরাজপুর একটি পুরাতন বাজার। এই বাজার হতে চৌগাছা উপজেলা সদরে আসার একটিই মাত্র সড়ক। স্থানীয়রা পুড়াহুদা স্বর্পরাজপুর সড়ক বলে এটিকে চেনে। উপজেলা সদর হতে পুড়াহুদা গ্রাম হয়ে স্বর্পরাজপুর বাজার পর্যন্ত যার দুরাত্ব ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার। বিভিন্ন সময়ে অল্প আধটু করে সড়কটি কোথাও পাকা কোথাও সোলিং করা হয়। কিন্তু পুড়াহুদা গ্রামের বাঁশতলা নামক স্থান হতে মাত্র আড়াই কিলোমিটার সড়ক আজও পাকা কিংবা সলিং হয়নি। বর্ষা মৌসুম এলে হাটু সমান কাঁদা আর গরমে ধুলাবালুর কারনে অসহনীয় কষ্ট ভোগ করে এই সড়কে চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের। এই অঞ্চল কৃষিতে স্বয়ং সম্পূর্ণ, তাই কৃষকের উৎপাদিত পন্য সামগ্রী বাজারজাত করতে যেয়ে রীতিমত হীমশিম খেতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সময় মত শাক সবজি বাজারে আনতে না পারায় কাংখিত দাম থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। এই সড়কটি দিয়ে ভ্যান, ইজিবাইক, আলমসাধুসহ ছোট খটো শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। ওই সব যান বাহনের চালকদের বর্ষা মৌসুমে নিদারুন কষ্টে দিন পার করতে হয় বলে জানা গেছে।
গতকাল সরেজমিন গেলে দেখা যায়, এলাকাবাসি কাঁদা সড়ক পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে আসছেন। এ সময় কথা হয় স্বর্পরাজপুর গ্রামের শিক্ষক হাফিজুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, স্বর্পরাজপুর, কান্দি, আড়কান্দি, আড়পাড়া, মির্জাপুর, জগদীশপুরসহ অন্তত দশ গ্রামের মানুষ এই সড়কটি ব্যবহার করেন। সড়কের বেশির ভাগ পাকা ও সলিং থাকলেও মাঝে মাত্র আড়াই কিলোমিটার সড়ক সম্পূর্ণ কাঁচা রয়েছে। এই কাঁচা সড়কের কারনে অসহনীয় কষ্ট নিয়ে স্থানীয়দের চলাচল করতে হয়। বিকল্প সড়ক থাকলেও তা বেশ দুর হওয়ায় এলাকার মানুষ এই কাঁচা সড়কটি দিয়ে উপজেলা সদরে চলাচল করেন। তিনি বলেন, সব থেকে বেশি সমস্য হচ্ছে, যদি কোন ব্যক্তি মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তাকে দ্রত হাসপাতালে নিতে ভুক্তভোগীদের চরম কষ্ট পোহাতে হয়। এ ছাড়া বছরের পর বছর স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদের চলাচলেও ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।
পুড়াহুাদা গ্রামের আবু সুফিয়ান বলেন, সড়কটি পাকাকরণ এখন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। কেননা এ অঞ্চলের মানুষকে অসহনীয় কষ্ট সহ্য করে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রতি বছরই সড়কটি মাপা হলেও পরে কোন কাজ হয়না। এলাকার কৃষকসহ সর্ব সাধারনের কথা বিবেচনা করে সড়কটি দ্রুত পাকা করনের দাবি করেন তিনি।
ইজিবাইক চালক গ্যাস উদ্দিন, মইনুর রহমান, শিমুল হোসেন বলেন, সড়কটি দিয়ে শতাধিক বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। বর্ষা মৌসুম এলে আমরা উপজেলা থেকে যাত্রী নিয়ে পুড়াহুদা গ্রামে নামিয়ে দিই। যাত্রীরা অনেক কষ্ট করে এই কাদামাখা সড়ক পাড়ি দেয়। স্বর্পরাজপুর বাজার পর্যন্ত যেতে না পারায় ভাড়াও কম হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত পাকা করনের জন্য তারা সংশ্লিষ্ঠদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উপজেলা প্রক্যেশলী আব্দুল মতিন বলেন, তিনি নতুন এই উপজেলাতে এসেছেন, কোন সড়কের কি অবস্থা তা এখনও বুঝে উঠতে পারেনি। তবে খোঁজ নিয়ে সড়কটি দ্রুত পাকারনের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহীত করা হবে বলে তিনি জানান।