হেলপারের হাতে স্ট্রিয়ারিং, সড়কের ওপর রাখা গাছে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ২

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর-নড়াইল মহাসড়কের তারাগঞ্জ এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস বাস উল্টে দুই জন নিহত হয়েছেন।  সোমবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল সড়কে।
নিহতদের মধ্যে একজন হলেন বাসের যাত্রী সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের আছান আলীর ছেলে হাশেম আলী (৪০)। অপরজন ওই বাসের সুপারভাইজার। তিনি ঢাকার জুরাইন শ্যামপুর এলাকার নাসিরুদ্দিনের ছেলে তৌফিকুর রহমান (২৪)।
এসময় আহত হন ৪ জন। তারা হচ্ছেন- ওমর আলী (৩১), প্রদীপ কুমার (৫০), রিয়াজুল ইসলাম (৫৫) ও গোপাল চন্দ্র (৪৭)। তারা যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাসের যাত্রীরা সকলে সাতক্ষীরার বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রামের রাউজানের একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
বাসের যাত্রী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলায়। আমরা ৪০ জন চট্টগ্রামের রাউজান থেকে রোববার সন্ধ্যায় গ্রিন সেন্টমার্টিন পরিবহনের একটি রিজার্ভ বাসে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে যাচ্ছিলাম। গোপালগঞ্জে আসার পর বাসের চালক ঘুমাতে যায়। এ সময় তিনি বাসের হেলপারকে গাড়ি চালাতে দেন। বৃষ্টির মধ্যে বাসের হেলপার বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিল। সোমবার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার দিকে তারাগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বাসটি উল্টে যায়। এ সময় বাসের সুপারভাইজার ও একজন শ্রমিক নিহত হন। আহত আরও ৫জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
নিহতের খালাতো ভাই মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতাম। ৮ মাস পর বাস রিজার্ভ করে বাড়ি ফিরছিলাম। দুর্ঘটনায় খালাতো ভাই হাশেম আলী ও বাসের সুপারভাইজার নিহত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে যশোর সদরের চাঁদপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আমিনুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। রাস্তার ধারে একটি বড় রেইনট্রির গুঁড়ি ফেলা রয়েছে। এ কারণে রাস্তা সংকুচিত হয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বাস উল্টে দুজন মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। দুর্ঘটনার পর প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।’