বাকি জালিয়াতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিন

0
জসিম উদ্দিন
দুর্নীতিবাজরা সমাজে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তাদের অন্যায় অপকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ যেন সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়াচ্ছে যেন দুর্নীতিবাজদের ইচ্ছা-অনিচ্ছাই দেশের আইন। রিজেন্ট হাসপাতালের সাহেদের দুর্নীতির ফিরিস্তি এখন সবারই জানা। জানা যাচ্ছে, রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসক নেয়া হবে ফেসবুকে এমন পোস্ট দেখে একজন নারী চিকিৎসক যোগাযোগ করেন। সেখানে তার চাকরি হয় কিন্তু এই হাসপাতালের মিরপুর শাখায় তার চাকরির তিন মাসের মাথায় তিনি সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। একজন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসককে কেন সেখান থেকে পালিয়ে আসতে হলো আর এমন ঘটনা কেনই বা লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যাচ্ছে? ওই চিকিৎসক জানাচ্ছেন ঘুমানোর সময় ছাড়া বাকি পুরো সময় তাকে কাজ করতে হতো। ওই হাসপাতালে তিনিই ছিলেন একমাত্র চিকিৎসক। তা ছাড়া মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছিল সেটি তিনি বুঝতে পারছিলেন। তাই পালিয়ে তিনি বাঁচতে চেয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা এই হাসপাতালটিকে করোনা চিকিৎসার উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করলেন। অধিদফতরের সাথে চুক্তিতে এটিকে অত্যাধুনিক হাসপাতাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। নারী চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমকে জানান, এক ভোরবেলায় ওই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসার ১০ দিন পর আবার তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এবার তাকে হাসপাতালের উত্তরা শাখায় নিয়োগ দেয়া হয়। বেতন ধরা হয় ৫০ হাজার টাকা। চাকরি দেড় মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি পান ৩০ হাজার টাকা। বাংলাদেশের সমাজে ডাক্তাররা প্রতিষ্ঠিত। তাদের ওপর অন্যায় অবৈধ আচরণ করবেন এমনটি সাধারণত কেউ বিশ্বাস করেন না। বোঝা যাচ্ছে, দেশে কিছু কিছু দুর্নীতিবাজ ক্ষমতা অপব্যবহারে এতটা সিদ্ধহস্ত হয়ে গেছেন যে, তারা ডাক্তারদেরও শোষণ করার ক্ষমতা রাখেন। সাহেদের হাসপাতালে যা তা অবস্থা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে কার্যকর আইসিইউ ছিল না। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই ছিল না। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। এই হাসপাতালে এমন ভঙ্গুর অবস্থা ডাক্তাররা জানলেও এখান থেকে যে সাহেদ করোনার ভুয়া সর্টিফিকেট দিচ্ছেলেন সেটি তারা জানতেন না। তবে তারা প্রায়ই রোগীদের উল্টাপাল্টা রিপোর্ট পাচ্ছিলেন। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন সেই সাহস ডাক্তারদের ছিল না।
রিজেন্টের সাথে স্বাস্থ্য অধিদফতরের যে চুক্তি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের একটি সার্টিফিকেট হিসেবে লেখা থাকবে। ওই চুক্তিতে বলা হয়, ‘দেশের বিশৃঙ্খল স্বাস্থ্যব্যবস্থায় রিজেন্ট হাসপাতাল একটি মহতী উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে। তাদের সেøাগান ‘সেবা সব সময়’। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সাধারণ চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক, অত্যাধুনিক বায়োমেডিক্যাল যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা এগিয়ে এসেছে।’ চুক্তিতে আরো বলা হয়, রিজেন্টের মিরপুর উত্তরার দু’টি হাসপাতালে সব ধরনের সেবার ব্যবস্থা আছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি ও রেডিওলজি বিভাগ রয়েছে।
বাংলাদেশের সরকারি স্বাস্থ্যখাত নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। মানুষের ধারণা, এই বিভাগের কাজ হলো- সরকারি হাসপাতালগুলোতে গ্রুপিং লবিংয়ের সহযোগী হওয়া। যারা নানা ধরনের দুর্নীতির পারফরম্যান্স দেখাতে পারঙ্গম তাদেরকে দেশের স্বাস্থ্য প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়োগ দেয়া। মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসসহ যত ধরনের জালিয়াতি হবে সব ধুয়ে মুছে ঠিক করে দেয়া। ২০১৫ সালে মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে ছাত্ররা আন্দোলন করেছিল। ওই সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্তাব্যক্তিদের সবাই একবাক্যে দাবি করেছিলেন, কোনোরকম দুর্নীতি হয়নি। মেডিক্যালের ফলাফলে অসঙ্গতি ও নাগরিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে চালিত তদন্তে দেখা গেল দুর্নীতি হয়েছে। তারপরও কোনো তদন্ত না করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলে দেয়া হলো ভর্তি পরীক্ষায় কোনো দুর্নীতি হয়নি। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ নতুন করে তদন্ত করে ওই সময়ে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্মকাণ্ড দেখে তাই মনেই হতে পারে, তারা দুর্নীতি ধুয়ে মুছে দিচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন না। সরকারি অনিয়ম দুর্নীতি অদক্ষতার মধ্যে বাংলাদেশের বেসরকারি সেবাখাত কম অগ্রসর হয়েছে বলা যাবে না। দেশে অনেকগুলো মানসম্পন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি কয়েক দশক ধরে উন্নত সেবা দেয়ার নজির তৈরি করেছে। এগুলোর স্বাস্থ্যসেবা অত্যাধুনিক। এ ছাড়া দেশে অনেক অভিজ্ঞ ডাক্তার রয়েছেন। অনেক ডাক্তারের রয়েছে বিশ্বজোড়া সুনাম। বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবায় অনেকে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উঁচুমানের হাসপাতাল চোখে পড়েনি। তাদের কাছে এ দেশের অভিজ্ঞ দক্ষ ও সৎ ডাক্তারদেরও পছন্দ হয়নি। তাদের পছন্দ হয়েছে সাহেদকে। কারণ তিনি ক্ষমতাসীন দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। এমন সদস্যপদ থাকলে কারো ডাক্তার হতে হয় না। তাকে কখনো হাসপাতাল চালানোর মতো সেবা খাতের উদ্যোক্তা হওয়ার অভিজ্ঞতারও দরকার হয় না। ক্ষমতাসীন দলের এ ধরনের একটি পদ বাগাতে এর চেয়েও বেশি যোগ্যতা লাগে। তাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই বাছাইকে কোনোভাবে খাটো করে দেখা যাবে না!
তার ওপর সাহেদের ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্ক। প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ স্পর্শকাতর সব জায়গায় তিনি অবাধে প্রবেশ করার অধিকার রাখেন। দেশের প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানসহ একেবারে শীর্ষ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অনুষ্ঠানে তিনি একজন সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পান। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তার ছবি এখন কথা বলছে। আমরা এখন একজন শাহেদকে পেয়েছি। সবাই তাকে নিয়ে ব্যস্ত। তার প্রতারণা জালিয়াতি এগুলোর বিস্তারিত চিত্র আমাদের সামনে উঠে আসছে। পুলিশ র‌্যাব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব এজেন্সি তার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দেশের সব সংবাদমাধ্যমে তার গরম গরম খবর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে নিয়ে সরস আলোচনা। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহধর্মিণী, যাকে তিনি পলাতক অবস্থান থেকে ফোন করে জানাচ্ছেন ‘আমি নিরাপদ’, সেই তিনিও বলছেন, সাহেদ একজন প্রতারক।
দুর্নীতি দমন কমিশনও এখন কামান দাগাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ৩২ মামলার অভিযোগ গঠন চলছে। এর মধ্যে একটি খুনের মামলাও রয়েছে। তিনি সশস্ত্র বডিগার্ড নিয়ে সদ্য প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালে রাতে অফিস করতেন। তার হাসপাতালে কাজ করা ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, মিটিংয়ে অনেক বিষয়ে আলোচনা হলেও তারা তাদের বেতন-ভাতার কথাটি তুলতে পারতেন না। ওই ডাক্তারদের সাথে কতটা প্রতারণা ও সন্ত্রাস করেছেন সেই কথাও তারা এখন প্রকাশ করেছেন। একজন ডাক্তার খুলনায় নিজের বাড়িতে ছিলেন। জরুরি ভিত্তিতে তাকে ডেকে নিয়ে আসেন সাহেদ। তার সাথে ছিলেন আরো একজন ডাক্তার। বিমান ভাড়া দেয়ার কথা ছিল। বিমান ভাড়া দূরে থাক ওই ডাক্তাররা নিজেদের বেতনও পাননি। যেসব আবাসিক ভবনে তিনি হাসপাতল গড়ে তুলেছেন সেগুলোও জোর করে দখল করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। এখন সব কিছু বেরিয়ে আসছে। অথচ এই লোকটি যখন সমাজে ক্ষমতার আশপাশ থেকে সংযোগ নিয়ে বড় বড় অপরাধ করে যাচ্ছিল তখন কোথাও থেকে তার বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি ছিল না। তিনি একেবারে দুধে ধোয়া পবিত্র মানুষ ছিলেন। তিনি টেলিভিশন টকশোতে বরং দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেখানে তিনি কিভাবে দুর্নীতি দমন করতে হবে তার টিপসও দিয়েছেন। আর কিছু কিছু টকশোতে তাকে ঘন ঘন আমন্ত্রণ জানানো হতো। শাহেদও এই সমাজের ঘুণে ধরা ফাঁকফোকর আবিষ্কার করে সেই ফুটো দিয়ে নিশ্চিন্তে চার ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে, ক্ষমতার আশ্রয়ে চালিয়ে যাওয়া তার প্রতারণা নিয়ে কেউ মুখ খুলবে না। তিনি নিশ্চয়ই বুঝেছিলেন, সমাজের বিশাল একটি অংশ আসলে ‘গবেট’। তার ছিল অনেক নাম ও পরিচয়। এসব পরিচয়ের মধ্যে বৈচিত্র্য রয়েছে। তার আন্তর্জাতিক মেধার প্রশংসা করতে হয়। কখনো তিনি শাহেদ করীম, আকা শাহেদ হাসান, কখনো সামরিক কর্মকর্তা, কখনো প্রধানমন্ত্রীর এপিএস পর্যন্ত। তিনি উপর তলার লোকদের সাথে স্বচ্ছন্দে মিশেছেন। থেকেছেন রাজধানীর অভিজাত এলাকায়। ক্ষমতাসীন দলের এক অঙ্গসংগঠনের সাথে সামান্য সংযোগের পাশাপাশি মুজিবকোট ছিল তার অবলম্বন। পোশাক এখন দুর্নীতি জালিয়াতি অনাচার আড়াল করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। তাই পোশাক ব্যবহার নিয়ে সরকারের অচিরেই একটি নিয়মকানুন আরোপ নিয়ে ভাবা দরকার। বিশেষ ধরনের পোশাক পরে সাহেদ ঢুকে পড়েছেন দেশের একেবারে শীর্ষ ক্ষমতাধরদের ড্রয়িং রুমে। তিনি তাক লাগিয়ে দিলেন আমাদের শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের সাথে ওঠাবসা করে। এ ছবি ছড়িয়ে পড়েছে গণমাধ্যমে। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সাথে তার করমর্দনের ছবিটি দৃষ্টি কেড়েছে। সেখানে রীতিমতো তিনি মাত করে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট যখন গভীর আগ্রহে সাহেদের সাথে হ্যান্ডশেক করছিলেন তখন তিনি তাকিয়ে ছিলেন ছবির আলোক উৎসের দিকে। সোজা করে বলতে গেলে প্রেসিডেন্ট যখন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সাহেদের করমর্দন উপভোগ করছিলেন সাহেদ তখন অন্যমনস্ক।
একজন জালিয়াত যখন সমাজের এতটা উপরতলায় উঠে একের পর এক জালিয়াতি করতে করতে দ্রুত গতিতে সবাইকে ছাড়িয়ে যাচ্ছিল তখন তার প্রতারণার ব্যাপারে কেউ কিছুই জানতেন না এটি অবিশ্বাস্য। বিশেষ করে দেশের শীর্ষ ক্ষমতাধরদের সাথে ওঠাবসা এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশের নেতাদের সাথে মেলামেশা করার সুযোগ পাওয়া একজন ব্যক্তির অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে কোনো গোয়েন্দা রিপোর্ট থাকবে না এটি বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না। আমরা অতীতেও দেখেছি বড় কোনো অঘটনের পরে একেকজন অপরাধী আবিষ্কার হয়েছেন। এর আগে তাদের ব্যাপারে সমাজের মানুষ ইশারা ইঙ্গিতে কিছু বলত। বেশি কিছু বলার সাহস পেতো না। প্রতারক ও জালিয়াতদের সমাজের মানুষ চেনে না ব্যাপারটা এমন নয়। একইভাবে সরকারের কাছেও এ ব্যাপারে খবরাখবর থাকার কথা। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে না। বরং চলে বিপরীত গতিতে। অর্থাৎ অনেক সময় তাদের অপরাধ ঢাকতে কিংবা তাদের অপরাধকর্মের বিস্তারে ভূমিকা রাখে। যেমন আমরা দেখলাম স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রতারক সাহেদকে স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে সৎ দক্ষ উদ্যোক্তা বানিয়ে দিলো।
মিডিয়াও এ দেশের অপরাধ উন্মোচনে খুব কমই ভূমিকা নিতে পেরেছে। সাহেদ যখন অপরাধ সাম্রাজ্য বিস্তার করছিল তার এসব অপকর্মের ব্যাপারে কোনো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেখা যায়নি বরং মিডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সহযোগীর ভূমিকা পালনের। মিডিয়াই সাহেদকে হাইলাইট করে উপরে উঠিয়েছে। কিছু কিছু টিভি চ্যানেল তাকে বারবার টকশোতে হাজির করেছে। আর সাহেদ এগুলোকে তার প্রতারণা জালিয়াতির জাল বিস্তারের জন্য ব্যবহার করেছে। দেশের মিডিয়া স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। নানাভাবে তারা চাপের মধ্যে রয়েছে। এই অবস্থায় সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশে এমন সাহেদ আছেন শত শত। আজ না হয় করোনার মতো স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে জালিয়াতি করে তিনি ও ডাক্তার সাবরিনা ধরা খেয়েছেন। তাদের পৃষ্ঠপোষকরা তাদের রক্ষা করতে পারেনি। সাহেদ-সাবরিনারা সংগঠিত প্রতারক সিন্ডিকেটের সুবিশাল হিমশৈলের অতি ক্ষুদ্র চূড়া। সাগরতলে লুকিয়ে থাকা আরো অসংখ্য প্রতারকের ব্যাপারে আমরা কি কোনো পদক্ষেপ নেবো না?
[email protected]