যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল: টাকা থাকতেও কেনা হয়নি : করোনাসহ সাধারণ রোগের ওষুধের তীব্র সংকট

0

বিএম আসাদ ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে করোনাকালীন ওষুধ সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ওষুধের অভাবে রোগীরা চরম বিপাকে পড়েছে। করোনাকালীন ওষুধের উৎপাদন কম হওয়ার সমস্যা দেখা দিয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, মহামারী করোনাভাইরাসে যশোরে ৮শ’ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে এক ডজনেরও বেশি। এছাড়া ঠান্ডা, কাঁশি, সাধারণ জ্বরসহ নানা রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময় হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ থাকার কথা। কিন্তু যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ওষুধ নেই। সেখানে ওষুধের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে।
রোগীদের চোখের ভালো কোন ওষুধ নেই। এন্টিবায়োটিক, প্যারাসিটামল, মলম, মেডিসিন, সার্জারি, শ্বাসকষ্ট, হার্টের নানা ধরনের ওষুধ আগে হাসপাতাল হতে দেয়া হলেও বর্তমানে রোগীদের সরবরাহ করা হচ্ছে না। গ্যাসের ট্যাবলেটসহ নামমাত্র দু’একটি ওষুধ দিয়ে বিদায় করা হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালের বহিঃর্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে এ বছরের মার্চ মাস থেকে চলছে সংকটজনক অবস্থা। যা আগে কখনো দেখা যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতায় যশোরের মানুষের ভাগ্যে ওষুধ জুটছে না। করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্তদের কোন চিকিৎসা মিলছে না। ঠান্ডা, কাঁশি, জ্বর, গলায় ব্যথাসহ করোনা উপসর্গের ওষুধ নেই হাসপাতালে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সময়মতো এমএসআর দ্রব্যাদির টেন্ডার হয়নি। হাসপাতালে মোট বরাদ্দকৃত টাকার শতকরা ২৫ ভাগ দিয়ে কেনা হয় ওষুধ। শেষ সময়ে টেন্ডার আহ্বান করা হলেও নিয়োগকৃত ঠিকাদার ওষুধ সরবরাহ করতে পারেনি। আবার সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানিও ঠিকমতো ওষুধ সরবরাহ করতে পারেনি। ওষুধ সরবরাহ করতে না পারার কারণে ১ কোটি ২২ লাখ টাকা ফেরত গেছে ইডিসিএল হতে।
এদিকে, এমএসআর টেন্ডারের ওষুধ ও অন্যান্য দ্রব্যাদি ক্রয়ের প্রায় ৯ কোটি টাকা ফেরত গেছে। যাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাই প্রকাশ পেয়েছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. আরিফ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যা আছে তা দিয়ে কোন রকম চলা যায়। তবে আমি বলবো, হাসপাতাল ভালো চলছে।