বিনামূল্যে পাবে বেক্সিমকোর রেমডিসিভির

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ কভিড-১৯ সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য নিজেদের উৎপাদিত ওষুধ রেমডিসিভির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ওষুধ সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। করোনাভাইরাসে নিরাময়ে কার্যকরী কোনো ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে উপসর্গ নিরাময়ে প্রচলিত কিছু ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এগুলোর মধ্যে হাইড্রোক্সিকোরোকুইন, ফ্যাভিপিরাভির ও রেমডেসিভির পরীামূলকভাবে তৈরি করতে বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি পেয়েছে স্কয়ার ফার্মা, এসকেএফ, বীকন, বেক্সিমকো, জিসকা ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে নিজেদের উৎপাদিত এক হাজার রেমডিসিভির ইনজেকশন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে তুলে দেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজমুল হাসান পাপন। এ সময় পাপন বলেন, “রেমডিসিভিরের জরুরি ব্যবহারের জন্য আমেরিকায় অনুমতি দিয়েছে। অন্যান্য ওষুধের চেয়ে এ ওষুধের দাম কিছুটা বেশি। একজন রোগীর ৬টি থেকে ১১টি ইনজেকশন প্রয়োজন হয়। একটি ইনজেকশনের দাম যদি সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা হয়, তাহলে প্রায় ৬০ হাজার টাকা প্রয়োজন হয় একজন রোগীর।” “যেহেতু বাংলাদেশ সরকার সরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা দিচ্ছে, তাই বেক্সিমকো থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালে যত রোগী আছে তাদের যদি রেমডিসিভি প্রয়োজন হয়, তাহলে বিনামূল্যে দেওয়া হবে।” বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানান, এ জন্য তারা সরকারের কাছ থেকেও টাকা নেবেন না।“আমাদের যদি বলা হয় কোনো রোগীর এ ওষুধ প্রয়োজন তাহলে আমরা সেখানে পৌঁছে দেব।”
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “রেমডিসিভিরের জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ। একই ধারায় বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরও এ ওষুধের ইমার্জেন্সি ইউজের অনুমতি দিয়েছে। বেক্সিমকো প্রথম কোম্পানি যে এ ওষুধটি এ অঞ্চলে উৎপাদন করেছে। এ ওষুধটি মুমূর্ষু রোগীদের দেওয়া হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা রোগীদের এ ওষুধ দিবে।” “কোভিড রোগীর জন্য এখনো কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি, এখনো এমন কোনো ওষুধও আসেনি যা খেলেই সুস্থ হয়ে যাবে। বেশ কিছু ওষুধ বাজারে আসছে রেমডিসিভির তেমন একটি ওষুধ। আমাদের ডাক্তাররা ট্রিটমেন্ট প্রোটোকলে কিছু ওষুধ যুক্ত করেছে। আমরা আশা করি, এ ওষুধটিও প্রটোকলে যুক্ত হবে।”