আর কতোজনকে মরতে হবে, প্রশ্ন গ্যারি নেভিলের

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কর্তাব্যক্তিরা চাইছেন জুনের মধ্যেই আবার ফুটবল ফিরুক। বেশ কয়েকটি ক্লাব তো খেলোয়াড়দের জন্য অনুশীলন মাঠ খুলে দিয়েছে। তোড়জোড় চলছে প্রিমিয়ার লিগের ‘প্রকল্প পুনরাম্ভে’র। কিন্তু এসব একেবারেই ভালো লাগছে না ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার গ্যারি নেভিলের। ব্রিটেনে করোনাভাইরাসের লকডাউন শেষ হতে না হতে এই যে আবার দ্রুতই ফুটবলে নেমে পড়ার চেষ্টা, এতে খেলোয়াড়দের জীবনেরই ঝুঁকি থাকছে বলে ভয় পাচ্ছেন নেভিল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই তাড়াহুড়োর মধ্যে নির্ভেজাল ‘টাকার মায়া’ দেখছেন। স্কাই স্পোর্টসের ফুটবল শো’য়ে বুধবার তিনি সোজাসাপ্টা বলে দিয়েছেন, ‘মানুষ এখন ঝুঁকির ব্যাপারটা তলিয়ে দেখছে। প্রিমিয়ার লিগটা একেবারেই বিস্বাদ ঠেকার আগে আর কতোজনকে মরতে হবে? একজন?একজন খেলোয়াড়? একজন স্টাফের ইনটেনসিভ কেয়ারে যেতে হবে? কী ঝুঁকিটা আমাদের নিতে হবে? এই আলোচনাটা একেবারেই নির্ভেজাল অর্থকড়ি কেন্দ্রিক।’ আগেরদিন ফিফার মেডিকেল প্রধান মিশেল ডি’হুগ বলেছেন, সেপ্টেম্বরের আগে ফুটবল খেলা উচিত নয়। বর্তমান সাধারণ স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে মিশেল ডি’হুগের সঙ্গেই কণ্ঠ মিলিয়েছেন নেভিল, ‘যদি স্বাস্থ্যটাই আগে আসে, তাহলে আমাদের হাতে এই মুহূর্তে ফলাফল একটাই। কতজন খেলোয়াড়ের হাঁপানি আছে? কতজন খেলোয়াড়ের ডায়াবেটিস আছে? তারা কি এ বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেছে এবং তারা কি এই মানুষগুলোকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাইছে না?’
কোভিড-১৯ মহামারিতে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত দেশগুলির একটি যুক্তরাজ্য। এ পর্যন্ত ২১ হাজারেরও বেশি মানুষের মুত্যু হয়েছে করোনার কারণে। দেশটি আগামী ৭ মে পর্যন্ত লকডাউনে থাকবে। আবারও ফুটবল শুরু করার ব্যাপারটি অবশ্য ইতিবাচকভাবেই দেখে সরকার, যদি ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আসে। জার্মানির ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন, বুন্দেসলিগা আগামী মাসে আবার শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওদিকে ডাচ ফুটবলের কর্তারা সে দেশের শীর্ষ ফুটবল লিগ ইআরডিভিসি শেষ করে দিয়েছেন। কোনও দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়নি, কোনও দলের উত্তরণ বা অবনমনও হয়নি। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপ্পে বলে দিয়েছেন, অন্ততপক্ষে সেপ্টেম্বরের আগে তার দেশে ফুটবল আর শুরু হচ্ছে না। আর এই ঘোষণার পর ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানও অসমাপ্ত অবস্থায় শেষ করে দেওয়া হয়েছে। যাই হোক, এ অবস্থায় নেভিলের উদ্বেগের কারণ হলো প্রিমিয়ার লিগের যেনতেনভাবে মৌসুম শেষ করার চেষ্টা, যার মধ্যে আর্থিক দিকটাই বড়। প্রিমিয়ার লিগে এখনও বাকি ৯২টি ম্যাচ।