যশোরে আরও ২০ জনের নমুনা সংগ্রহ গাড়ি পেলেন ৭ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা

0

বিএম আসাদ ॥ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিলে যশোরের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা ও কর্মচারীদের প্রণোদনা দেবে সরকার। মনিরামপুরে আক্রান্ত স্বাস্থ্য সহকারীকে আরও দুটি পরীক্ষা করা হবে। এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ২০টি যশোর জেলায় করোনা সন্দেহে সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাকে (ইউএইচএফপিও) ৭টি জীপ প্রদান করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে যশোর সার্কিট হাউজে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত কমিটির ৫ম সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ সভায় সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন গত সভায় গৃহীত পদক্ষেপ উপস্থাপন করেন এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানান। সিভিল সার্জন বলেন, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৪০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ৩৮ জন। অদ্যাবধি ৪ হাজার ৬২ জন কোয়ারেন্টিনে এবং ৩ হাজার ৫৯ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। আইসোলেশন ওয়ার্ডে আছেন ৬ জন। এছাড়া মনিরামপুরে করোনায় আক্রান্ত স্বাস্থ্য সহকারী হোম আইসোলেশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে আরও দু’টি নমুনা পরীক্ষা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সভায় জানানো হয়, এ পর্যন্ত ২শ’ ৮০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর ভেতর ২শ’ ৩৫টি পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। ৪৫টি পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে বাকি রয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালের তালিকাভুক্ত চিকিৎসক, সেবিকা, কর্মচারীদের প্রণোদনা দেয়া হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাদে বাকি ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বাহন হিসেবে ৭টি জীপ গতকাল প্রদান করা হয়েছে। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায়, পুলিশ সুপার মো. আশরাফ হোসেন, লে. কর্নেল, নেয়ামুল হালিম খান, যশোর প্রেসকাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বিএম-এর সাধারণ সম্পাদক ডা. এমএ বাশার, ডা. গোলাম মোর্ত্তজা, ডা. তৌহিদুল ইসলাম, ডা. মুন্সী মনোয়ার হোসেন প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন। সভা শেষে জেলা পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিিেয়শন যশোরের পক্ষ থেকে জাহিদ হাসান টুকুন ও মেহেদী হাসান মিন্টু ১শ’ পিপিই জেলা প্রশাকের হাতে তুলে দেন।