মনিরামপুরে কাবিখার চাল জব্দের ঘটনায় আটক চাতাল মালিকসহ দুজনের আদালতে স্বীকারোক্তি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের মনিরামপুরে কাবিখার (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) ৫৫৫ বস্তা চাল জব্দের ঘটনায় আটক চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ট্রাকচালক ফরিদ হাওলাদার মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন । শহিদুল ও জগদীশ নামে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ওই চাল কিনেছিলেন বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আটক বিজয়রামপুরের ভাই ভাই রাইস অ্যান্ড চাতালের মালিক তার জবানবন্দিতে আদালতকে জানিয়েছেন, গত মার্চ মাসে তিনি উপজেলার তাহেরপুর গ্রামের মৃত সলেমান মোড়লের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও জোড়নপুর গ্রামের জগদীশের কাছ থেকে ৩৭ টন কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির চাল ক্রয় করেন। এর মধ্যে তারা তাকে প্রথমে ২১ টন চাল সরবরাহ করেন। বাকি চাল অর্থাৎ ৫৫৫ বস্তা চাল গত ৪ এপ্রিল তাকে দেওয়ার কথা ছিলো। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৪ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে ওই ৫৫৫ বস্তা চাল শহিদুল ও জগদীশ তাকে মনিরামপুর খাদ্য গুদাম থেকে ডেলিভারি দেন। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান চালানের মাধ্যমে তাকে চাল বুঝেও দেন। পরে চাল আনলোড করার সময় পুলিশ তার কাছে হানা দেয়। জবানবন্দিতে আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেছেন, শহিদুল ও জগদীশ ওই চাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কিনেছেন। তিনিও (আব্দুল্লাহ আল মামুন) ইতোপূর্বে তাদের কাছ এভাবে দুই দফায় চাল কিনেছিলেন। উল্লেখ্য,আটক ভাই ভাই রাইস অ্যান্ড চাতালের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন মনিরামপুরের বিজয়পুরের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে এবং ট্রাকচালক ফরিদ হাওলাদার খুলনার দৌলতপুরের সাহেবপাড়ার রতন হাওলাদারের ছেলে। গত ৪ এপ্রিল শনিবার বিকেলে মনিরামপুর থানা পুলিশের এসআই তপন কুমার সিংহ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিজয়রামপুরের ভাই ভাই রাইস মিল অ্যান্ড চাতালে অভিযান চালিয়ে কাবিখার ৫৫৫ বস্তা চালসহ উল্লিখিত দুজনকে আটক করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পরদিন ৫ এপ্রিল আটক দুজনকে আদালতে সোপর্দ করে ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। এ সময় আদালত তাদের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মঙ্গলবার রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।