সিরিজ হেরে ধোনিকে আবিষ্কার করেছিল ভারত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে ৩৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার স্যার গ্যরি সোবার্স। এই ইনিংস খেলার আগে ১৬টি টেস্টে সেঞ্চুরিশূন্য ছিলেন সোবার্স। পরবর্তী ক্যারিয়ারে আরও ২৫টি সেঞ্চুরি হাঁকান এ ক্যারিবীয় কিংবদন্তি।
তার মতো এত বড় না হলেও, ২০০৫ সালে নিজের পঞ্চম ইনিংসেই ১৪৮ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। অথচ আগের চার ইনিংসে সাকুল্যে তার সংগ্রহ ছিল মাত্র ২২ (০, ১২, ৭* ও ৩) রান। সেই ধোনির ব্যাট থেকেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১২৩ বলে ১৪৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস পায় ভারত। যা দলকে এনে দেয় ৩৫৬ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ। ম্যাচটিতে ভারত জেতে ৫৮ রানের ব্যবধানে।
উইকেটরক্ষক হিসেবে দলে এলেও, ব্যাটিংটা যে ভালোই পারেন- সেদিন তারই প্রমাণ দিয়েছিলেন ধোনি। নিজের প্রথম চার ম্যাচে সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান ধোনি। কিন্তু সেই ম্যাচে তাকে ৩ নম্বরে নামিয়ে দেন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। আর তাতেই বাজিমাত। ধোনির ব্যাট থেকে আসে অসাধারণ ইনিংস। যা কি না তার আগমনী বার্তাই ছিলো বলে মনে করেন সেই ম্যাচে ৪ উইকেট নেয়া বাঁহাতি পেসার আশিষ নেহরা। ধোনির সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেও, ২০০৫ সালে ঘরের মাঠে সেই ছয় ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি ২-৪ ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল ভারত। তবে এতদিন পর এসে সেই সিরিজ হারের দুঃখ নেই নেহরার। বরং ঐ সিরিজের মধ্য দিয়ে ধোনিকে আবিষ্কার করার তৃপ্তিটাই বেশি বাঁহাতি এ পেসারের।
রোববার (৫ এপ্রিল) ছিল ধোনির সেই ১৪৮ রানের ইনিংসের ১৫ বছর পূর্তি। সে উপলক্ষ্যে সংবাদমাধ্যমে নেহরা বলেন, ‘ধোনির সেই ইনিংসটাই দলের মধ্যে বিশ্বাস এনে দিয়েছিল যে, আমরাও চাইলে একজন পরীক্ষিত উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান খেলাতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুরুর কয়েক ম্যাচে তেমন ভালো করেনি ধোনি। তবে ওর মতো আত্মবিশ্বাসী একজন যখন সুযোগ পায়, তখন সেটা পুরোপুরি কাজে লাগায়। অবিচল আত্মবিশ্বাসই ধোনির মূল শক্তি। এর আগে ৩ নম্বরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়নি। সেদিন সুযোগ পেয়েই বুঝিয়ে দিয়েছিল নিজের সামর্থ্য। আমরা হয়তো সে সিরিজটা হেরে গিয়েছিলাম, কিন্তু ধোনিকে আবিষ্কার করেছিলাম।’ পরবর্তী সময়ে ভারতের হয়ে কী কী করেছেন ধোনি, তা সবারই জানা। অধিনায়কত্বের সাফল্য একদিকে রাখলে, ব্যাটসম্যান হিসেবেও দারুণ সফল তিনি। এখনও পর্যন্ত ৩৫০ ওয়ানডেতে ৫০.৫৭ গড়ে করেছেন ১০,৭৭৩ রান। এর বাইরে অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে এনে দিয়েছেন সব ধরনের সাফল্য।