সোহাগ হত্যা মামলায় যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মিলন ঢাকায় আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক আলোচিত জাহিদ হোসেন মিলন রাজধানী ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমনাবন্দর থেকে আটক হয়েছেন। দুবাই থেকে ফেরার পথে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। যশোর শহরের কাজীপাড়ার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগ হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন যশোর পুলিশ প্রশাসনের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। পুলিশের ওই মুখপাত্র জানান, ইমিগ্রেশন পুলিশকে আগে থেকেই জাহিদ হোসেন মিলনের বিষয়ে ইনফরমেশন দেয়া হয়েছিলো। ফলে গত রোববার তিনি দুবাই থেকে ঢাকায় আসার পর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। জাহিদ হোসেন মিলন যশোর শহরের কাজীপাড়ার সোহাগ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। ইতোপূর্বে আটক একজন আসামি আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তার নাম প্রকাশ করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও ৩টি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।
যুবলীগ কর্মী সোহাগ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মদ জানান, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আকাশ নামে একজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তার জবানবন্দি থেকে জাহিদ হোসেন মিলনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়। তিনি আরও জানান, ইতোপূর্বে যশোরের সংসদ সদস্যের বাড়িতে বোমা হামলার সাথেও জাহিদ হোসেন মিলনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ আরও ৪টি মামলা রয়েছে। ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা জাহিদ হোসেন মিলনকে ঢাকা থেকে যশোরে নিয়ে আসা হয়। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়ায় নিজ বাড়ির কাছে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগ। দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তিনি কাঁঠালতলা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। নিহত শরিফুল ইসলাম কাজীপাড়ার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। তিনি আওয়ামী লীগের এমপি গ্রুপের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই ফেরদাউস হোসেন সোমরার ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৭ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। আসামিরা হচ্ছে, ইয়াছিন মোহাম্মদ কাজল, তাইজুল ইসলাম, টিপু, আমিরুল ইসলাম, সাগর, তরুন, আলামিন ও ডাবলু। ডিবি পুলিশ জানায়, তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪ জনকে আটক করে। এছাড়া আরও ৩ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে।