সঞ্চয়পত্র বিক্রি আরো কমেছে

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ চলতি অর্থবছরের নভেম্বরে সঞ্চয়পত্র থেকে মাত্র ৩২১ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে সরকার। আগের বছরের একই মাসে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল ৮২৩ কোটি টাকা। সামপ্রতিক কোনো মাসে এতটা কম বিক্রি হয়নি। সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে সরকার নতুন নিয়ম চালু করায় কয়েক মাস ধরে বিক্রি কমছে। তবে সঞ্চয়পত্রে ঋণ কমলেও টাকার চাহিদার কারণে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে প্রচুর ঋণ নিচ্ছে সরকার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ২১ হাজার ৬৬২ টাকার ঋণ এসেছিল।
এবার সঞ্চয়পত্র থেকে বছরজুড়ে নিট ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও টিআইএন বাধ্যতামূলকের পাশাপাশি অনলাইন ডাটাবেসের মতো নতুন ব্যবস্থা চালু করায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি অনেক কমে গেছে। সব মিলিয়ে নভেম্বর পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৯১ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। ব্যাংক খাতে ঋণস্থিতি রয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। তবে রাজস্ব আয় আশানুরূপভাবে না বাড়লে ঋণ আরো বাড়বে। সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ কমায় সরকারের ব্যাংক নির্ভরতা অনেক বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে সরকার। তবে গত ২৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক থেকে নিয়েছে ৪৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বর্তমানে সঞ্চয়পত্র থেকে অর্থ নিতে সরকারকে সুদ দিতে হচ্ছে ১১ শতাংশের ওপরে। ব্যাংক থেকে যেখানে ঋণ মিলছে ৮ শতাংশের কম সুদে। এমন পরিস্থিতিতে সঞ্চয়পত্রে সুদ ব্যয় কমাতে চলতি অর্থবছর নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে অনলাইন ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি চালুর ফলে সীমাতিরিক্ত যেসব বিনিয়োগ ছিল, তা ধরা পড়েছে। মুনাফা ছাড়াই এ ধরনের অর্থ ফেরত নিতে হয়েছে অনেককে। এ ছাড়া এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ই-টিআইএন বাধ্যতামূলক করায় এখন আর আগের মতো কেউ অপ্রদর্শিত টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনছেন না। এ কারণেও বিক্রির পরিমাণ কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।