মোস্তাফিজ নৈপুণ্যে আশা বাঁচিয়ে রাখলো রংপুর

0

লোকসমাজ ডেস্ক ॥ মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং নৈপুণ্যে দারুণ জয় নিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো রংপুর রেঞ্জার্স। গতকাল বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ২৫তম ম্যাচে সিলেট থান্ডারকে ৭ উইকেটে হারায় অধিনায়ক শেন ওয়াটসনের রংপুর। ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেট তুলে নিয়ে সিলেট থান্ডারকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন মোস্তাফিজ। পরে এক ওভারে মোস্তাফিজের জোড়া শিকারে সিলেট থান্ডারকে অল্পতেই বেঁধে ফেলে রংপুর। সিলেট থান্ডারের ইনিংস থামে ১৩৩/৯-এ। জবাবে ১৬ বল বাকি রেখে জয় নিশ্চিত করে রংপুর। সর্বোচ্চ ৬৩ রান আসে প্রোটিয়া তারকা ক্যামেরন ডেলপোর্টের ব্যাট থেকে।
বিপিএলের শুরুর দিকে নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না চলতি বছরে ওয়ানডেতে চতুর্থ সেরা ৩৪ উইকেট শিকারি মোস্তাফিজ। বিপিএলের প্রথম চার ম্যাচে ১১১ রানে পান মাত্র ৪ উইকেট। আর শেষ তিন ম্যাচে ১২ ওভারে ১ মেডেনসহ ৬১ রানে তার শিকার ৮ উইকেট। চলতি বিপিএলে ১২ শিকার নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন এই বাঁহাতি পেসার। ১৩ উইকেট নিয়ে শীর্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বাঁহাতি পেসার মেহেদি হাসান রানা। সিলেটের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ৬ ম্যাচে মাত্র ১ জয় ছিল রংপুরের। প্লে অফে ওঠার জন্য এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না রংপুরের। এ জয়ে ৭ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফে খেলার আশা জিইয়ে রাখলো দলটি। অপরদিকে ৮ ম্যাচে সপ্তম হার নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলো সিলেট। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে টসে জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রংপুরের অজি অধিনায়ক ওয়াটশন। সিলেটের ব্যাট হাতে মিঠুন ছাড়া বাকিরা ছিলেন নিস্প্রভ। ৪৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন মিঠুন। এতে তিনি হাঁকান চারটি চার ও দুটি ছক্কা। ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান শেরফান রাদারফোর্ড করেন ১৬ রান। রেঞ্জার্সের বল হাতে পাঁচ বোলারই পান উইকেট সাফল্য। চার ওভারের স্পেলে মাত্র ১০ রানে তিন উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট আরাফাত সানি, মুকিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ নবী ও লুইস গ্রেগরি। অপর ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার ও জনসন চালর্স করেন ০ ও ৬।
জবাবে দলীয় ৫ রানে শেন ওয়াটসনকে হারায় রংপুর। ১ রান করে ইবাদত হোসেনের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়াটসন। দ্বিতীয় উইকেটে ডেলপোর্ট-নাইম ৯৯ রানের জুটি গড়ে জয়ের পথ সুগম করেন। ডেলপোর্ট ২৮ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৩ রান করে আউট হন। দলীয় ১১২ রানে লুইস গ্রেগরি ফেরেন ৪ করে। চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন নাইম শেখ। বাঁহাতি ওপেনার নাইম ৩৮ ও নবী ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। সিলেটের বল হাতে চার ওভারের স্পেলে মাত্র ১৩ রানে ২ উইকেট নেন আফগান পেসার নাভিন উল হক। এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারে আন্দ্রে ফ্লেচারকে হারায় সিলেট। শুন্য রানে ফেরেন চলতি আসরের প্রথম শতক হাঁকানো এই ক্যারিবিয়ান। এরপর জনসন চার্লস ৯ রান করে দলীয় ১৬ রানে সাজঘরে ফেরেন। তৃতীয় উইকেটে মোসাদ্দেক-মিঠুন ৫৭ রানের জুটি গড়েন। মোসাদ্দেক দলীয় ৭৩ রানে ১৫ করে আউট হন। সিলেট শেষ ২৬ রানে হারায় ৬ উইকেট। শেষদিকে সোহাগ গাজী করেন ১২ রান। শেষ ওভারে টানা দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান মুস্তাফিজুর রহমান।