দক্ষ জনশক্তির জন্য প্রশিক্ষণ জরুরি

0

দক্ষ চালকের চাহিদা দেশে যেমন, একইভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। সুতরাং প্রশিণপ্রাপ্ত মানসম্মত চালকের পেশাদারিত্বে আরও সমতা বৃদ্ধিতে সরকার নতুন একটি কর্মপ্রকল্প একনেকে অনুমোদন দিয়েছে। লাধিক তরুণকে গাড়ি চালনায় পারদর্শী করতে সরকার এেেত্র অর্থ ব্যয় করবে ২৬৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। অনুমোদনকৃত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে থাকবে প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি প্রশিণ ব্যুরো। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে পাসকৃত এই মহৎ পরিকল্পনাটি দেশে-বিদেশে দ চালকের কর্মসংস্থান সহজলভ্য করতে বিশেষ উদ্যোগীর ভূমিকায় থাকবে। পরিকল্পনামন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী দেশের ৬৪টি জেলায় বিদ্যমান বিভিন্ন কারিগরি প্রশিণ কেন্দ্র এমন গুরুদায়িত্ব পালন করবে। উদ্যোগী তরুণদের চালকের প্রশিণ দেয়ার পাশাপাশি তাদের সুদ মোটর ম্যাকানিক্স হিসেবেও তৈরি করা হবে। সবটাই হবে উন্নতমানের প্রশিণ কেন্দ্রের দায়বদ্ধতায়। রাস্তার মাঝখানে যাত্রী পরিবহন ুদ্র ও বৃহদাকার যানগুলোর যন্ত্র বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে হরহামেশাই। একজন চালককে সে বিষয়েও পারদর্শী হওয়া জরুরী। যাতে তাৎণিক কর্মযোগে বিপন্ন গাড়িটি নতুন করে তার যাত্রাপথ শুরু করতে পারে। লাধিক তরুণকে বিনা মূল্যে প্রশিণ ছাড়াও প্রতিদিন ১০০ টাকা করে ভাতাও দেয়া হবে। পরিকল্পনামন্ত্রীর বক্তব্যে আরও উঠে আসে এই মুহূর্তে সৌদি আরবেই এক লাখ সুদ চালকের প্রয়োজন। আর এই চাহিদা শুধু সৌদিতেই নয়, সারা বিশ্বের দ চালকের গুরুত্ব কোন অংশে কম নয়। সঙ্গত কারণে নতুন দ চালক তৈরিতে উন্নতমানের আন্তর্জাতিক সীমানাকে মাথায় রেখেই প্রশিণকে সে মাত্রায় পারদর্শিতায় পূর্ণ করতে হবে। আর এই সম্ভাবনাময় প্রকল্পের আওতায় দেশের বেকার তরুণ-তরুণীদের প্রশিণের মাধ্যমে দ চালক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ ছাড়াও দতার মাপকাঠিতে আধুনিক সময়ের চালক তৈরিতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। আর এই কর্মপ্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের অগ্রসরমান অর্থনীতিতে। এই প্রশিণের নিমিত্তে প্রয়োজন পড়বে ১২৮টি ডাবল কেবিন পিকআপ, আটটি ট্রাক ও একটি মাইক্রোবাস। এ ছাড়া লাগবে ১৯২টি প্রশিণ যন্ত্রপাতি, সাত ধরনের ২১টি অফিস যন্ত্রপাতি। প্রশিক থাকবেন হাতে-কলমে ১২৮ জন, তাত্ত্বিকভাবে ৬৪ জন ও দ কর্মী হিসেবে প্রশিণি পরিচালনা করবেন আরও ৬৪ জন। ৬১ জেলায় এই কার্যক্রম শুরু হবে এবং ২০২৪ সাল অবধি এর কর্মবিধি অব্যাহত থাকবে। দ ও উপযুক্ত প্রশিতি চালক তৈরি হলে দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে, ফলে দেশের অর্থনীতির চাকাও হবে আরও গতিশীল। আমাদের দেশের কোন চালক যদি সৌদিতে চাকরি পায় তা হলে তার মাসিক বেতন হবে ১ হাজার ৩৫০ রিয়াল যার বাংলাদেশের মুদ্রায় আসবে ৩০ হাজার টাকা। এ ছাড়া প্রশিতি চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে কোন অর্থমূল্য কিংবা আনুষঙ্গিক ছাড়পত্রেরও প্রয়োজন হবে না। এ সবই প্রশিণ নেয়ার ইতিবাচক দিকনির্দেশনা।