যশোরে পৌর প্রশাসনের দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের প্রত্যাহার

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কারণে পৌর এলাকার দোকানপাট এক সপ্তাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত কয়েক ঘণ্টা পর জেলা প্রশাসনের সভা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে ফেসবুকে ‘যশোর লকডাউন’ বলে যে গুজব ছড়িয়েছে তা ভিত্তিহীন উল্লেখ করে জনগণকে প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখতে আহ্বান জানানো হয়েছে। সভায় আরও বলা হয়, এখনও যশোরের পরিস্থিতি সেই পর্যায়ে পৌঁছায়নি যে ‘লকডাউন’ করতে হবে।
গতকাল রবিবার দুপুর ২টার দিকে যশোর পৌর কর্তৃপ পৌর শহরের বড় বাজারের ব্যবসায়ী ও সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে। ওই বৈঠকে ব্যবসায়ীদের সম্মতিক্রমে ২৩ মার্চ থেকে এক সপ্তাহ (২৯ মার্চ পর্যন্ত) মুদি, খাবার এবং ওষুধের দোকান ব্যতীত যশোর পৌর এলাকার সকল দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাঁচা বাজার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফ উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে সভার সিদ্ধান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যশোর ‘লকডাউন’ বলে ছড়িয়ে পড়ে। এক ঘণ্টার মধ্যে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হওয়ায় জেলা প্রশাসক বিকেল ৪টায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, পৌরমেয়র, পুলিশ সুপার ও সাংবাদিকদের নিয়ে জরুরি সভা আহ্বান করেন। ওই সভায় পুনরায় ব্যবসায়ীদের মতামত জানতে চাওয়া হয়। এসময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এক সপ্তাহের জন্য দোকানপাট বন্ধের ব্যাপারে তাদের আপত্তি নেই বলে জানান এবং জেলা প্রশাসককে সিদ্ধান্ত দেওয়ার অনুরোধ করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ পৌর কর্তৃপরে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। এসময় তিনি বলেন, সরকার যশোরের ব্যাপারে এমন কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাছাড়া ‘লকডাউন’ বলে গুজবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তবে সকলকে সচেতন হতে হবে। ফলে ব্যবসায়ীরা সচেতন হবেন এবং আপনারা দোকান কত সময় খোলা রাখবেন নিজেরাই নির্ধারণ করে আমাদের জানাবেন। অবস্থা যদি খারাপ পর্যায়ে যায় তাহলে প্রশাসনই তখন প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। এসময় পৌরমেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু বলেন, ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যেহেতু বাজার এলাকায় জনসমাগম বেশি হয় সেকারণে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ নিজেরা বসে প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা কত সময় খোলা রাখলে ভালো হবে তা তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। সভায় পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাসের অন্যতম ভ্যাকসিন হচ্ছে সচেতনতা। ব্যক্তিপর্যায়ে সবাই সচেতন হলে আমরা এর থেকে পরিত্রাণ পাবো। তাই সকলকে সচেতন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি আশপাশের পরিবেশও পরিষ্কার রাখা উচিত। মোদ্দা কথা, বিনা প্রয়োজনে আমাদের কারোই বাড়ির বাইরে বের হওয়ার দরকার নেই।

Lab Scan