দুদকের গণশুনানির পর আটক যশোরে বিআরটিএর ২ দালাল

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিআরটিএ কর্মচারী পরিচয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইলিয়াস হোসেন নামে এক যুবকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাত করেন দুই ব্যক্তি। যশোরে আয়োজিত দুদকের গণশুনানিতে ভুক্তভোগী যুবক এ বিষয়ে অভিযোগ করলে প্রমাণিত হয় ওই দুই ব্যক্তি বিএরটিএ’র কর্মচারী নন, দালাল।

এ সময় দুদক চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে সরকারি কর্মচারী পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। রোববার রাত ৮টার দিকে বিআরটিএ যশোরে সহকারী পরিচালক এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন মামলাটি করেছেন। মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকরা হলেন, বাঘারপাড়া উপজেলার প্রেমচারা গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে সোহেল আহম্মেদ (৩৫) ও সদর উপজেলার শেখহাটি জামরুল তলা এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে ইমদাদুল হক (৪৩)।

বিআরটিএ যশোরের সহকারী পরিচালক ইঞ্জি. এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন মামলায় উল্লেখ করেছেন, রোববার যশোর শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়নতে দুদক গণশুনানির আয়োজন করে। গণশুনানিতে বাঘারপাড়া উপজেলার ক্ষেত্রপালা গ্রামের সোবহান সরদারের ছেলে ইলিয়াস হোসেন অভিযোগ করেন, ২০২১ সালে সোহেল আহম্মেদ ও ইমদাদুল হক নামে দুই ব্যক্তি বিএরটিএ অফিসে চাকরি করেন পরিচয় দিয়ে তারা তার ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্যে ১২ হাজার টাকা নেন। কিন্তু তারা তার ড্রাইভিং লাইসেন্স না করে দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এ সময় গণশুনানি অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিআরটিএ সহকারী পরিচালক এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন জানান, ওই দ্ইু ব্যক্তি তাদের অফিসে চাকরি করেন না। এ সময় প্রমাণিত হয়, সোহেল আহম্মেদ ও ইমদাদুল হক দুই জনই প্রতারক। পরবর্তীতে বিআরটিএ সহকারী পরিচালক এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, ওই দুই ব্যক্তি এভাবে অনেকের সাথে প্রতারণা করেছেন।

পুলিশ জানায়, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ মামলা দায়েরের পর রোববার রাত ১টার দিকে কোতয়ালি থানার এসআই দেবাশীষ হালদার যশোরের শেখহাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন। সোমবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।