যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে একবেলায় নিউমোনিয়া আক্রান্ত ২১শিশু ভর্তি

0

বি এম আসাদ ॥ ঋতু পরিবর্তনকালে ঠান্ডা গরমে যশোরে শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া, হুপিং কাশি, জ্বর, সর্দি-কাশি এবং বিভিন্ন শীতজনিত রোগের প্রকোপ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালের বেড পর্যাপ্ত না থাকার কারণে অনেক শিশুকে মেঝেতে বিছানা দিয়ে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। বর্হিভাগেও শত শত শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।

চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশু ওয়ার্ডে শনিবার দিনের প্রথম পর্বে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ২১ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৯৭ জন। এভাবে শিশু ওয়ার্ডে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১৪ জন। সেখানে মোট বেডের সংখ্যা মাত্র ২৪টি। প্রতিটি বেডে ৪ গুণের বেশি রোগী চিকিৎসাধীন।

বর্হিভাগে প্রতিদিন প্রায় ১৮০ নারী, শিশু ও পুরুষ চিকিৎসা নিচ্ছে, যার মধ্যে ৫-৬ বছরের শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক। অধিক সংখ্যক রোগীর ভীড় সামাল দিতে চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্মচারীরা হিমসিম খাচ্ছেন। রোগীরাও বেড না পেয়ে মেঝে ও করিডোরে অমানবিক পরিবেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকেও একই অবস্থা, যেখানে শিশু রোগীদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, গ্রীষ্ম ও শীতের মাঝামাঝি সময়ের এই পরিবর্তন দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডার কারণে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ফলে নিউমোনিয়া, হুপিং কাশি ও অন্যান্য শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। শিশুকে গরম-ঠান্ডা পরিবেশে রাখার এবং ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার না খাওয়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘গরমের শেষ ও শীতের শুরুতে শিশুরা নিউমোনিয়া, হুপিং কাশি, ঠান্ডা, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফ্রিজের পানি বা ঠান্ডা খাবার শিশুদের দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে পরামর্শ দিচ্ছি। শিশুরা সুস্থ ও সবল দেহে বড় হতে অভিভাবকদের সতর্ক থাকা জরুরি।