দিপান্বিতা অমাবস্যায় আলোক উৎসব

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ সোমবার দিপান্বিতা অমাবস্যা তিথির গভীর রাতে আনুষঙ্গিক মাঙ্গলিক ধর্মীয় আচারানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শ্রীশ্রী শ্যামাপূজা সম্পন্ন করেছেন। একইসাথে অনুষ্ঠিত হয় অলক্ষ্মীপূজা শেষে শ্রীশ্রী লক্ষ্মীপূজা। এছাড়া অমাবস্যার এ তিথিতে যশোরে দীপাবলি বা দীপদান তথা আলোক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অশুভ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তির আনয়নে ভক্তবৃন্দ-এ মহাশক্তির বন্দনা করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, মহাশক্তির আরাধনায় সব অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে অন্ধকার থেকে আলোর পথ সুগম হয়।

শাস্ত্রীয় মতে, ভূতচতুর্দশীর পর অমাবস্যার পূর্ণতিথিতে গভীররাতে উৎসাহ উদ্দীপনায় ধর্মীয় আচারানুষ্ঠানে সারা দেশের সাথে যশোরেও অনুষ্ঠিত হয় এ মহাশক্তির বন্দনা।

‘জ্বলে উঠুক আলোর সারি, দূর হোক অন্ধকার; বিদায় নিক অশুভ, বিজয়ী হোক শুভ শক্তি’ এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, যশোর পৌর শাখার আয়োজন সোমবার সন্ধ্যায় যশোরের লালদীঘিতে সহস্রাধিক প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।

আলোর মালায় সজ্জিত এই প্রদীপ প্রজ্বলন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের সহ-অধ্যক্ষ স্বামী আত্মবিভানন্দজি মহারাজ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, যশোর জেলা শাখার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট দেবাশীষ দাস ও সদস্য সচিব নির্মল কুমার বীট।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ যশোরের সভাপতি দীপংকর দাস রতন, সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ, পৌর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মৃণাল কান্তি বসু, সম্পাদক উৎপল ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক দেবাশীষ ঘোষ ও অর্থ সম্পাদক নিরূপম বসু প্রমুখ।

এদিন সন্ধ্যায় যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ ক্যাম্পাসে আলোক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ মাইকেল মধুসূদন কলেজ শাখার উদ্যোগে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এরপর ১০৮টি প্রদীপ ও একহাজার ৮টি মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে আলোকিত করা হয় কলেজ প্রাঙ্গণ।

সার্বজনীন ও ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ছাড়াও যশোর শহরে শতাধিক দৃষ্টিনন্দন পূজা মন্দির ও মন্ডপে এবার পূজা উদযাপন হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যার আগেই প্রতিটা পূজা মন্দির-মন্ডপে শ্রীশ্রী শ্যামা বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিগ্রহ স্থাপনের পর আনুষঙ্গিক সব প্রস্তুতি সম্পন্নের পর গভীর রাতে পূজা শুরু হয়ে সূর্যোদয়ের আগে পূজা সম্পন্ন হয়। এরপর ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।