রামপালে ২৪ লাখ টাকার গণশৌচাগার দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ

0

রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ রামপাল উপজেলা সদরের খেয়াঘাটে ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে মোট ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯১১ টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুটি গণশৌচাগার দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ থাকায় তা কোন কাজেই আসছে না।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে ও সদর খেওয়াঘাটের জনসাধারণ ও পথচারীদের স্যানিটেশন সমস্যার সমাধানে শৌচাগার নির্মাণ প্রকল্প দুইটি বাস্তবায়ন করা হয়। রামপাল উপজেলা এলজিইডি ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, ইউটিএনআইডিপি’র প্রকল্পের অধীনে ইংরেজি ২০১৯ সালে নির্মাণ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মঞ্জু এন্টারপ্রাইজ খুলনা। তারা ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৯১১ টাকা ব্যয়ে শৌচাগার নির্মাণ কাজ শুরু করে। গত ২০২৪ সালের জুন মাসে নির্মাণ সম্পন্ন করে তা হস্তান্তর করে। পরে শৌচাগারসহ টিউবওয়েল উপজেলা প্রশাসনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

রামপাল উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ইমরান হোসেন জানান, পল্লী অঞ্চলে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের অধীনে গত ২০২০ সালে ওয়েলকাম মোটরস নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা ব্যয়ে শৌচাগার নির্মাণ শুরু করে। স্থানীয় কমিউনিটির লোকেরা তা দেখভাল করেন।
মুদি ব্যাবসায়ী মো. একরামত জানান, এখানে লোক সমাগম না থাকায় দিনের অধিকাংশ সময় শৌচাগারটি বন্ধ থাকে।

স্থানীয় ও পথচারীরা অভিযোগ করেন, বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয়ে শৌচাগার দুটি নির্মাণ করে তা তালাবদ্ধ রাখা হয়েছে। এতে মানুষের কোন কাজেই আসছে না। পথচারীরা মাঠেঘাটে যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করছে। এতে পরিবেশের দারুণ ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত তালা খুলে পথচারীদের জন্যে টয়লেট দুটি উম্মুক্ত করার দাবি তাদের।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না ফেরদৌসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, প্রকল্প দুটির বিষয়ে তার কাছে কোন রেকর্ড নেই। বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে জানাতে পারবো।

তবে তিনি জানান, পাবলিক টয়লেট তালাবদ্ধ থাকার বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবো।