প্রতারক মিন্টুর বিরুদ্ধে এবার বিদেশে পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাতের মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে আলোচিত প্রতারক মিজানুর রহমান মিন্টুর বিরুদ্ধে রোববার সদর আমলী আদালতে বৈদেশিক কর্ম সংস্থান ও অভিবাসন আইনে মামলা হয়েছে। মেহেদী হাসান নামে এক যুবককে কানাডায় পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি হয়।

মেহেদী হাসানের মা মনিরামপুর উপজেলার জামজামি গ্রামের বাসিন্দা মোসাম্মাদ শাহনাজ আক্তার এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মন্ডল অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপারকে আদেশ দিয়েছেন।

আসামি মিজানুর রহমান মিন্টু যশোর শহরের রেলগেট চোরমারা দিঘির পাড় এলাকার আবুল কালামের ছেলে। বর্তমানে তিনি বগুড়া সদরের বড় হরিশপুর এলাকার বাসিন্দা।

মামলায় শাহনাজ আক্তার উল্লেখ করেছেন, আসামি মিজানুর রহমান মিন্টু তার পূর্ব পরিচিত। মিজানুর রহমান মিন্টু তাকে জানান, তার সরকার অনুমোদিত রিক্রুট এজেন্সি আছে। ৭/৮ বছর ধরে তিনি অসংখ্য লোককে বিদেশে পাঠিয়েছেন। শাহনাজ আক্তারের ছেলে মেহেদী হাসানকেও কানাডায় পাঠিয়ে দিতে পারবেন।

এ জন্য তাকে ২৫ লাখ টাকা দিতে হবে। তবে প্রথমে দিতে হবে ২৩ লাখ টাকা। টাকা গ্রহণের ৩ মাসের মধ্যেই মেহেদী হাসানকে বৈধ পাসপোর্ট ভিসার মাধ্যমে কানাডায় নিয়ে অধিক বেতনে ভালো কোম্পানির চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে। মিজানুর রহমান মিন্টুর কথায় বিশ্বাস করে ২০২৪ সালের ২ মার্চ থেকে বিভিন্ন সময় তাকে মোট ১৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা দেন শাহনাজ আক্তার। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর ৩ মাসের মধ্যে মেহেদী হাসানকে কানাডায় পাঠাতে ব্যর্থ হন।

এ কারণে শাহনাজ তার কাছে টাকা ফেরত চান। সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর টাকা ফেরত চাইলে শাহনাজ আক্তারকে হত্যার হুমকি দেন মিন্টু। ফলে বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শাহনাজ আক্তার।

উল্লেখ্য, একই ধরনের একটি প্রতারণার মামলায় গত ১৫ অক্টোবর কোতয়ালি থানার পুলিশ বগুড়া থেকে মিজানুর রহমান মিন্টু এবং তার স্ত্রী বৃষ্টি বেগমকে আটক করে নিয়ে আসে। পরদিন তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।