চৌগাছার বড় কাকুড়িয়ায় মন্দির পাকাকরণের দাবি

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু,চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছা উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের বড় কাকুড়িয়া গ্রামে দীর্ঘ ৩৪ বছরেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাকালী মন্দিরের সংস্কার হয়নি। মন্দিরটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।

উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গ্রাম বড় কাকুড়িয়া। গ্রামের ঐতিহ্য একটি সুবিশাল বাঁওড়। বাঁওড়কে কেন্দ্র করে পশ্চিমপাড়ে গড়ে ওঠে একটি জেলে পল্লী। যেখানে ১৫ থেকে ২০ ঘর হিন্দুদের বসবাস। তাদের মহল্লায় একটি ধর্মীয় উপাসনালয় আছে। ১৯৯১ সালে বাঁশের চাঁচ আর টিনের ছাউনি দিয়ে এই উপাসনালয়টি স্থাপিত করেন মহল্লার লোকজন। মন্দিরটর নাম দেন মহাকালী মন্দির। ৩৪ বছরে এসেও সেই আগের মতই আছে মন্দিরটি।

শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, মন্দিরের সেবায়েত সন্নাসী হালদার পূজা অর্চনা করছেন। একবুক হতাশা আর কষ্ট নিয়ে তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এই মন্দিরের জন্য অনেকবার সাহায্যের আবেদন করেছি কিন্তু হয়নি। মহল্লায় বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষ গরিব, তাদের মন্দির সংস্কার করার মত সমর্থ নেই। সরকার থেকে কোনো সহযোগিতা প্ইানি। তাই ৩৪ বছর আগে বাঁশের বেড়া আর টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি মন্দিরে বসেই আমরা ধর্মকর্ম করি।

ওই মহল্লার বাসিন্দা নিমাই হালদার,রাজকুমার হালদার, কোমল হালদার, বিষ্ণু হালদার, সুমন হালদারসহ একাধিক লোক বলেন, সারাটা দিন আমরা বাঁওড়ে কাজ করি, রাতে বাড়িতে ফিরে বিশ্রামের পর যাই মন্দিরে।

কিন্তু মন্দিরের চরম বেহালদশার কারণে বেশি সময় সেখানে থাকতে পারি না। আমরা গরিব সংসার চালাবো না মন্দির ঠিক করবো। তাই যে হালে আছে ধর্মীয় উপাসনালয়টি সেখানে বসেই মহল্লাবাসীর চলে ধর্মীয় কাজ। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শারদীয় উৎসব হয় কিন্তু আমরা করতে পারি না। কালী মন্দিরে শুধু কালীপূজা উদযাপন হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামছুন নাহার বলেন, মন্দিরটি এমন খারাপ অবস্থা কেউ কখনও বলেনি। মন্দির কমিটি একটি আবেদন করুক আমরা তাদের সহযোগিতায় সব ব্যবস্থা করব।