যশোরে শেষ হলো নতুন কুঁড়ির অডিশন, ইয়েস কার্ড পেল ৫৫৮ প্রতিযোগী

0

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে শেষ হলো নতুন কুঁড়ির খুলনা-২ অঞ্চলের অডিশনের ৪ দিনের মিলনমেলা। এ সময়ে যশোর, নড়াইল, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলার প্রতিভাবান শিশু-কিশোররা মোট ৫৫৮টি ইয়েস কার্ড অর্জন করেছে। তারা এখন খুলনা-১ ও খুলনা-৩ অঞ্চলের বিজয়ীদের সঙ্গে বিভাগীয় পর্বে লড়বে।

বিটিভির সংশি্লষ্ট বিচারক ও আয়োজকরা আশা করেছিলেন, যশোরাঞ্চল থেকে অন্তত ৮ শতাধিক ইয়েস কার্ড পাওয়া যাবে। তবে প্রথম দিন ২০৮, দ্বিতীয় দিন ১০৫, তৃতীয় দিন ১৫৫ এবং চতুর্থ দিনে মাত্র ৯০ ইয়েস কার্ড পান। অনেক প্রতিযোগী একাধিক বিভাগে অংশ নিয়ে একাধিক ইয়েস কার্ড পেয়েছে।

দীর্ঘ ২০ বছর পর শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণে শুরু হওয়া নতুন কুঁড়ির অডিশনে এবার মোট ২ হাজার ৪১৫ জন নিবন্ধন করে। ৬ থেকে ১৫ বছর বয়সী অংশগ্রহণকারীরা অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুক, নৃত্য ও সঙ্গীতের বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শন করে।

খুলনা-২ অঞ্চলের অডিশনের আহ্বায়ক মো. আনোয়ার সাদাত রবি জানান, ৫৫৮ জন ইয়েস কার্ডধারীর মধ্যে অন্তত ৩৩ জন তিনটি বিভাগে অংশ নিয়ে তিনটিতেই সাফল্য পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘এরা নিঃসন্দেহে প্রতিভাবান ও দৃঢ় মানসিকতার প্রতিযোগী। তবে সবার জন্য প্রতিযোগিতা কঠিন হবে।’

অডিশনে সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে সঙ্গীত ও নৃত্যে। চার দিনে সঙ্গীতে ২৪১জন, নৃত্যে ১১২ জন এবং আবৃত্তিতে ১৩৯ জন ইয়েস কার্ড পেলেও অভিনয়ে মাত্র ২৭ জন টিকেছে। কৌতুক বিভাগে অংশগ্রহণ ছিল খুবই কম। আড়াই হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে মাত্র ৩ জনকে পাওয়া গেছে এ শাখায়। গল্প বলাতে ইয়েস কার্ড পেয়েছেন ২৪ জন

ঢাকা থেকে আসা বিচারক ড. মীর আহসানুল আলম, আবু হেনা রনি, আজগর আলীম ও মনিরা পারভীন আয়োজন, ব্যবস্থাপনা ও যশোর ভেন্যুর পরিবেশের প্রশংসা করলেও পারফরম্যান্সে আরও বেশি প্রত্যাশা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেন।

আয়োজক ও বিচারকরা বিশ্বাস করেন, আগামীতে যশোর ভেন্যু আরও শক্তিশালী হয়ে বেশি সংখ্যক প্রতিযোগীকে বিভাগীয় পর্যায়ে পাঠাতে পারবে।