ওষুধের তীব্র সংকটে যশোর জেনারেল হাসপাতালে অসহায় রোগীরা

0

বি এম আসাদ ॥ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। হাসপাতালের ফার্মেসিতে জরুরি ওষুধ না থাকায় তাদের খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। বিশেষ করে দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত রোগীরা বাইরের দোকান থেকে চড়া দামে ওষুধ কিনতে না পেরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক বলছেন, সংকট কাটাতে সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।

বুধবার দুপুরে তেমনই এক চিত্র দেখা গেল হাসপাতালের শিশু বহিঃবিভাগে। মিঠু নামের এক ব্যক্তি তার চার বছর বয়সী নাতনিকে চিকিৎসা দিতে এসে প্রেসক্রিপশন হাতে পান। কিন্তু ফার্মেসিতে গিয়ে জানতে পারেন, প্রয়োজনীয় সিপ্রোসিন সিরাপটি নেই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মিঠু বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে ওষুধ পাবো না, তাহলে কোথায় যাবো?’ তার এই ক্ষোভ দেখে উপস্থিত অন্যরাও বিচলিত হয়ে পড়েন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের স্টোরে এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের মজুদ নেই। স্টোর কিপার গৌতম কুমারও এই সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, ওষুধ এলেই তা দ্রুত ফুরিয়ে যায়। তিনি জানান, বর্তমানে কার্ডিয়াক রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ইনজেকশন বুপিকেইন, সাকসাসেটিন, ভেনকিরিন, ক্লোহেক্সিডিন এবং ট্যাবলেট ডক্সাফাইসিলিন, অক্সিটোগ্লিসিন ও নাইটোগ্লিসারিন-সহ অন্তত ১৩ ধরনের জীবন রক্ষাকারী ওষুধ নেই।

এমন পরিস্থিতিতে দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত রোগীরা বাইরে থেকে চড়া দামে ওষুধ কিনতে পারছেন না। ফলে তাদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, ‘ওষুধের সংকট চলছে। কীভাবে এই সমস্যা দূর করা যায়, আমরা সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, সংকট মোকাবিলায় সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইডিসিএল লিমিটেডে জরুরি চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।