একই মালিকের ভেজাল মবিল ও সার কারখানায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া দক্ষিণপাড়ায় অবৈধভাবে পরিচালিত একটি ভেজাল মবিল ও দস্তা সার উৎপাদনকারী কারখানার সন্ধান পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে পরিচালিত অভিযানে কারখানাটির মালিক সামাউল ইসলাম ইমনকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং কারখানাটি তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করে দেওয়া হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন যশোর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ইয়াসমিন এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মোশারফ হোসেনের ছেলে সামাউল ইসলাম ইমন তার বাড়ির অদূরে সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল মবিল ও দস্তা সার উৎপাদনের একটি অবৈধ কারখানা পরিচালনা করে আসছিলেন। কারখানার ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়ে। এতে অনেক বাসিন্দার শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালাপোড়া এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।

এ ছাড়া কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছিল পাশের একটি পুকুরে। ফলে পুকুরের পানি সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে পড়ে এবং মাছ মারা যেতে থাকে। বর্তমানে পুকুরটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তবে ভয়ের কারণে অনেকেই প্রকাশ্যে অভিযোগ করতে সাহস পাননি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতান সোমবার রাতে অভিযানস্থল থেকে জানান, স্থানীয়ভাবে অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কারখানার ভেতর থেকে ভেজাল দস্তা সার ও মবিল তৈরির কাঁচামালসহ অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই কারখানার কোনো বৈধ অনুমোদন নেই, যা কৃষি ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। তাই আইন অনুযায়ী কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে এবং মালিককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালেও র‌্যাব ও কৃষি বিভাগের যৌথ অভিযানে সামাউল ইসলাম ইমনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সে সময় তার কারখানা সিলগালা ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই তিনি পুনরায় নতুন জায়গায় একই কার্যক্রম শুরু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের নিম্নমানের সার ও কেমিক্যাল মাটি ও ফসলের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রম রোধে ভবিষ্যতেও নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।