কৃষকদলের নেতা তরিকুল হত্যায় ২ আসামির ও অস্ত্র মামলায় হৃদয়ের আদালতে স্বীকারোক্তি

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম হত্যা মামলার দুই আসামি বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া অস্ত্র মামলায় নওয়াপাড়া পৌর যুবলীগের সম্পাদক সম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয়ও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানা তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

কৃষকদলের নেতা তরিকুল ইসলাম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি মঞ্জুরুল হক ভূঞা জানান, আলোচিত তরিকুল হত্যা মামলার আসামিদের আটকের জন্য তার নেতৃত্বে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের এসআই দেবব্রত ঘোষসহ একটি টিম গত ১৫ ও ১৬ জুলাই কেশবপুর, মনিরামপুর ও অভয়নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে হত্যা মামলার আসামি কেশবপুর উপজেলার সারুটিয়া গ্রামের মেহাজান গাজীর ছেলে মিন্টু গাজী (৩৬), মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের মৃত ইজ্জত আলী দফাদারের ছেলে হাসানুর দফাদার (৪০), অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের নেছার আলী খাঁ’র ছেলে বিল্লাল খাঁ (৩৮) ও জিয়ারুল খন্দকারের ছেলে আবু হুরাইয়াকে (২৫) আটক করা হয়।

পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে বুইকারা ড্রাইভার পাড়ায় অভিযান চালিয়ে সিরাজুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান হৃদয়কে (২৮) আটক করা হয়। মেহেদী হাসান হৃদয়ের স্বীকারোক্তিতে এবং দেখানো মতে তার শয়নকক্ষ থেকে তরিকুল হত্যায় ব্যবহৃত ১টি পিস্তল ও ১ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।

তিনি জানান, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তরিকুল হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তলটি হাসানুরের কাছে ছিলো। পরে তরিকুল হত্যার পরিকল্পনাকারী এবং স্থানীয় এক নেতার নির্দেশে হাসানুর পিস্তলটি বিল্লালের কাছে দেন। কিছুদিন নিজ হেফাজতে রাখার পর বিল্লাল ওই পিস্তল মেহেদী হাসান হৃদয়ের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পিস্তলের আসল মালিক ভারতে অবস্থানরত কথিত চরমপন্থি নেতা দীপঙ্কর। তিনিই হত্যার আসল পরিকল্পনাকারী এবং অস্ত্র সরবরাহকারী। তবে স্থানীয় ওই নেতার নাম প্রকাশ করতে চাননি তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তদন্ত শেষে সকল কিছু প্রকাশ করা হবে।

এদিকে আটক ৫ জনের মধ্যে মেহেদী হাসান হৃদয়ের কাছ থেকে পিস্তল-গুলি উদ্ধার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অভয়নগর থানায় মামলা করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার হত্যা মামলায় আটক ৪ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে এর মধ্যে মিন্টু গাজী ও আবু হুরাইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অস্ত্র আইনের মামলায় মেহেদী হাসান হৃদয়কে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনিও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, তরিকুল হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে তারা আটক করেছেন। এর মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যার সাথে সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি জানান, হত্যা মিশনে ২ জন শ্যুটার ছিলেন। এরা হলেন, পল্লব ও চয়ন এবং তাদের দুই জনকেই আটক করা হয়েছে।