কারারক্ষীর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে সোহাগ হোসেন নামে এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার শাহিনুর রহমান নামে এক ব্যক্তি যশোর সদর আমলী আদালতে এই মামলাটি করেন। শাহিনুর রহমান যশোর শহরতলির শেখহাটি বাবলাতলা এলাকার মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুবাইদা রওশন আরা অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিবি পুলিশের ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত কারারক্ষী সোহাগ হোসেন মনিরামপুর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের মৃত হাসেম আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে কর্মরত আছেন এবং এর আগে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত ছিলেন। তার বর্তমান ঠিকানা যশোর শহরতলীর শেখহাটি।

শাহিনুর রহমানের অভিযোগ অনুযায়ী, শেখহাটি এলাকায় বসবাসের সুবাদে কারারক্ষী সোহাগ হোসেনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। কারারক্ষী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে সোহাগ হোসেন তাকে জানান, তিনি ইচ্ছুক প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দিতে পারবেন। তখন শাহিনুর রহমান তার ভাগ্নি বর্ষা খানমের চাকরির আগ্রহের কথা জানান।

সোহাগ হোসেন বর্ষা খানমকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে শাহিনুর রহমান চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সোহাগ হোসেনকে ১৫ লাখ টাকা দেন। ৩০০ টাকার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করে সোহাগ হোসেন এই টাকা গ্রহণ করেন। চুক্তি অনুযায়ী, বর্ষা খানমকে তিন মাসের মধ্যে চাকরি দিতে না পারলে ক্ষতিপূরণসহ ১৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল সোহাগের।

কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বর্ষা খানমকে কারারক্ষী পদে চাকরি দিতে ব্যর্থ হন সোহাগ হোসেন। এরপর শাহিনুর রহমান তার দেওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত চাইলে সোহাগ হোসেন নানা টালবাহনা শুরু করেন। সর্বশেষ গত ২০ জুন শাহিনুর রহমান টাকা ফেরত চাইলে সোহাগ হোসেন তা দিতে অস্বীকার করেন। এর ফলে শাহিনুর রহমান আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।