ছেলেদের পছন্দের শীর্ষে সুতি পাঞ্জাবি

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ ঈদে ছেলেদের পছন্দের শীর্ষে থাকে পাঞ্জাবি। ছোট-বড় সবারই পছন্দের পোশাক পাঞ্জাবি। এবার ঈদ পড়েছে গরমের মধ্যে, তাই হালকা রংয়ের পাঞ্জাবি প্রাধান্য পাচ্ছে বাজারে। আরামদায়ক সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবির বিক্রি বেশি।

একসময় ঈদের পাঞ্জাবি মানেই ছিল সাদা, অফ-হোয়াইট বা হালকা রঙের সুতি কাপড়ে সূচিকর্ম বা মুদ্রিত নকশার সাধারণ ডিজাইন। তবে বর্তমান ফ্যাশন ট্রেন্ডে এসেছে বৈচিত্র্য। প্রতিবছরই পাঞ্জাবির কাট, নকশা, লেন্থ, কারুকাজে আসছে পরিবর্তন। নকশা ও কাটছাঁটে রয়েছে নানা বৈচিত্র্য।

বাজার ঘুরে দেখা যায় কাতান, সিল্ক, লিনেন বা জামদানি প্যাটার্নের পাঞ্জাবি এখন দারুণ জনপ্রিয়। এ ছাড়া কুর্তা স্টাইল, চায়নিজ কলার, স্ট্যান্ড কলার, এমনকি ডিজিটাল প্রিন্টের পাঞ্জাবিও জায়গা করে নিয়েছে তরুণদের পছন্দের তালিকায়।

যশোরের শহরের প্রতিটি মার্কেট ও অভিজাত শপিং মলে এখন পাঞ্জাবি বিক্রি হিড়িক পড়েছে। শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিনে যশোরের সব গুলো বিপননী বিতানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, তাদের সাধ্যের মধ্যে সেরা পাঞ্জাবিটা কিনতে কেউ ছুটছেন, অভিজাত শপিং মলে আবার কেউবা ছুটছেন মধ্য বিত্তদের কেনাকাটার নির্ধারিত স্থান কালেক্টরেট মার্কেটে। শনিবার এই প্রতিবেদক ঈদের কেনাকাটা দেখতে কালেক্টরেট মার্কেটে যান। মার্কেটের জুড়ে ক্রেতাদের চাপ দেখা যায়। তাদের চাপ সামলাতে দোকানের কর্মচারীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে দেখা যায়। তবে এদিন দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিশু ও নারীদের বেচাকেনা প্রায় শেষ। এই মুহুর্তে পুরুষদের পাঞ্জাবি বিক্রির ধুম পড়েছে।

ক্রেতার ভিড়ে কয়েকটি দোকানে গিয়ে এই প্রতিবেদক পাঞ্জাবির দাম যাচাই করেন। সেখানে দেখা যায়, দেশীয় সুতি কাপড়ের একটি পাঞ্জাবি দাম হাকানো হয়েছে ৮শ থেকে ১৬শ টাকা। কাতানের একটি পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ১৬শ থেকে তিন হাজার টাকা। মটকা কাপড়ের পাঞ্জাবি দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা। সিল্ক কাপড়ের ১৭শ থেকে আড়াই হাজার কিংবা তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে কাশ্মীরি ও পাকিস্তানি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি মানভেদে আড়াই থেকে শুরু করে চার হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঞ্জাবির সাথে ক্রেতারা টাউজার কিনছেন। একেকটি টাউজার বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে ৮শ টাকায়। তবে দাম নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে খুব বেশি অসন্তোষ দেখা যায়নি।

এম এম কলেজ শিক্ষার্থী আল আমিন হোসেন বলেন, বছর জুড়ের পাঞ্জাবি খুব একটা গায়ে দেওয়া হয় না। তবে বছরের একমাত্র দিন যে দিনটিতে পাঞ্জাবি ছাড়া অন্য কিছু পরা হয় না। সেই দিনটি হলো পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। তাই ঈদের দিন নতুন পাঞ্জাবি পরে নামাজ আদায়ের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি।

স্কুল শিক্ষক সেলিম রেজা বলেন, রমজানের শুরুতে বাচ্চাদের জামা কাপড় কেনা হয়ে গেছে। এখন নিজের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে আসলাম। আমার পছন্দের সুতি কাপড়ে একটি পাঞ্জাবি কিনলাম।

কালেক্টরেট মার্কেটের ফাইভ ব্রাদার্সের সত্ত্বাধিকারী রাবিক হাসান বলেন, প্রতি বছর রমজানের শেষ দশকে বয়স্কদের পাঞ্জাবি বিক্রি শুরু হয়। এই বছর ঠিক একই সময় পাঞ্জাবি বিক্রি শুরু হয়েছে, বরং দুই এক দিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে।

বেচাবিক্রির পরিমাণ নিয়ে তিনি সন্তোষ্টি প্রকাশ করে আরও বলেন, এ বছর পাঞ্জাবির দাম বেড়েছে। গেল বছর যে পাঞ্জাবির দাম ছিল ছয়শ টাকা সেটি এ বছর আমাদের আট’শ টাকায় কিনতে হয়েছে। যে কারণে প্রতিটি পাঞ্জাবির দাম গেল বারের তুলনায় এবার একটু বেশি।