যশোর জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে করা রিট খারিজ, ঠিকাদারকে ১০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর পথ্য সরবরাহ দরপত্রের বিরুদ্ধে করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। দীর্ঘ এক দশক পর দেওয়া আদেশে দরপত্রের স্থিতিতাদেশ প্রত্যাহার এবং রিটাকারী ঠিকাদার হাফিজুর রহমানকে ১০ কোটি টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

অর্থদন্ডের টাকা রাষ্ট্রের অনুকুলে জমা দেওয়ার জন্য তাকে আদেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি মো. আশরাফুজ্জামান ও কাজী ওলিউল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ দেড় মাস আগে এই আদেশ দিলেও বিষয়টি গোপন করা হয়।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. ড. গোলাম রহমান। তিনি জানান, গত ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রিট খারিজের আদেশ দেন। আদালতকে তিনি অবহিত করেছিলেন যে, ওই রিটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে রোগীরা যথাযথভাবে পথ্য পাননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত এবং হয়রানি হয়েছে। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে রিট খারিজের পাশাপাশি রিটকারী হাফিজুর রহমানকে ১০ কোটি টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন।

যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলাম জানান, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের রোগীর পথ্য সরবারের (খাবার) দরপত্র্ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে ঠিকাদারের করা রিট হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেছে বলে ঢাকা থেকে তাকে জানানো হয়েছে। সেই সাথে ১০ কোটি টাকা দিতে ঠিকাদারকে আদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি ওই আদেশে সার্টিফাইড কপি এখনো হাতে পাননি। সার্টিফাইড কপি হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুদ রানা জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি সভা থেকে তিনি রিট খারিজের বিষয়টি জানতে পেরেছেন। রিটকারী ওই ঠিকাদারকে ১০ কোটি টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছেন আদালত। যা তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুকুলে দিতে হবে।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের নবাগত তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হোসাইন শাফায়েত জানান, রিট খারিজের তথ্য সঠিক।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের রোগীর খাবার সরবারের দরপত্র আহবান করা হয়। সেই সময় শফিকুর রহমান নামে একজন ঠিকাদার প্রতিদিন ২৭৮ রোগীর খাবার সরবারের কার্যাদেশ পান। কিন্তু ওই দরপত্রে ত্রুটি আছে এমন অভিযোগ এনে ২০১৪ সালের ১৬ জুন হাইকোর্টে রিট করেন ২০১২-১৩ অর্থ বছরের কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদার হাফিজুর রহমান।

কিন্তু এতোদিন রিটের নিষ্পত্তি না হওয়ায় খাবার সরবারের দরপত্র আহবান বন্ধ হয়ে যায়। রিটের নিষ্পত্তি না হওয়ায় আদালতের দেওয়া স্থিতিতাদেশের কারণে এতোদিন ধরে হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করে আসছিলেন বিগত অর্থবছরের ঠিকাদার হাফিজুর রহমান নিজেই।