সড়ক নির্মাণে ধীরগতি, ভোগান্তির শেষ নেই এলাকাবাসীর

0

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর) ॥ যশোরের পুলেরহাট থেকে মনিরামপুরের রাজগঞ্জ হয়ে কেশবপুর উপজেলার চিংড়া বাজার পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটারের জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির নির্মাণকাজ ধীরগতির কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

মনিরামপুরের বাণিজ্যিক শহর রাজগঞ্জ বাজার থেকে শুরু করে মাহিদিয়া, বাগেরহাট, গোয়ালদাহ, পলাশী, রোহিতা, খেদাপাড়া, দোদাড়িয়া, হানুয়ার, মোবারকপুর পালপাড়া, শাহপুর, হাকিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়ক খোঁড়াখুড়ি ও কাটাকাটি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বৃহত্তর এই জনগরুত্বপূর্ণ সড়কে চলাচলরত মনিরামপুর, কেশবপুর, কলারোয়া, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, শার্শা ও যশোর সদর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘ প্রায় ১০মাস ধরে এ কার্যক্রম চলে আসলেও সড়কটির সার্বিক উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই বলে জানান ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

সূত্র মতে, জেলার পুলেরহাট থেকে কেশবপুর উপজেলার চিংড়া বাজার পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার সড়কটি সংস্কারের জন্য ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে খোঁড়াখুড়ি শুরু হয়। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। সড়কটির সংস্কার ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০.৮৫৮ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ১২ নভেম্বর ২০২৫ সালে। কিন্তু সংস্কারের নামে সড়কটি সম্পূর্ণ খুঁড়ে ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌছে গেছে।

এদিকে খুঁড়ে ফেলে রাখা প্রধান সড়কটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার একটু বর্ষা হলেই সড়কটিতে পানি জমে থাকে। জমে থাকা ওই পানির কারণে পথচারীসহ এলাকাবাসী প্রধান এ সড়ক দিয়ে ঠিকমত যাতায়াত করতে পারছেন না। হানুয়ার গ্রামের ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম ও আড়ৎ ব্যবসায়ী ইমদাদ হোসেন জানান, প্রধান এ সড়কটি খোঁড়াখুড়ি করে ফেলে রাখায় মালামাল বহনকারী ট্রাক আসতে পারছে না। যে কারণে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একে এম. ইউনুস আলম জানান, সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঠিকমত স্কুলে আসতে পারছে না। রাজগঞ্জ পুলেরহাট সড়কের বাসচালক আসলাম মিয়া জানান, প্রধান এ সড়কটি খুঁড়ে ফেলে রাখায় আপাতত বাস চলাচলা বন্ধ রয়েছে। আর বাস চলাচল ঊহৃ থাকায় পরিবার পরিজন খুবই কষ্টে আছি বলে দাবি করেন এ চালক। প্রভাষক কফিল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, রাজগঞ্জ পুলেরহাট সড়কটি খোঁড়াখুড়ির কারণে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও যাওয়া যাচ্ছে না। তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করে বলেন, তাদের ধীরগতির কারণে প্রধান এ সড়কের আজ এ অবস্থা।

প্রকৌশলী রিপন হোসেন জানান, বৃহত্তর এ সড়কটি খুঁড়ে রাখায় পথচারীদের যাতায়াতে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি অতি দ্রুত সড়কটি নতুন করে তৈরি করে সাধারণ পথচারীদের চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করা। এক প্রশ্নের জবাবে এ প্রকৌশলী বলেন, যথাসময়ে কাজ শেষ হবে। শতভাগ আস্থা রাখার ও দাবি করেন তিনি। তবে ভালো মানের কাজের জন্য এটুকু কষ্ট সবাইকে ভোগ করতেই হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা