ঢাকার ফায়ার ফ্লাই ট্যুরসের পরিচালকের নামে যশোর অফিস প্রধানের মামলা

বিদেশ না পাঠিয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে লোক পাঠানোর কথা বলে প্রতারণা করে ৫৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ফায়ার ফ্লাই ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস ঢাকার পরিচালক সৈয়দ মেহেদী হাসান রুদ্রের বিরুদ্ধে রোববার যশোর সদর আমলী আদালতে মামলা হয়েছে। ফায়ার ফ্লাই ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস যশোর অফিসের পরিচালক রাশেদুর ইসলাম মামলাটি করেছেন। তিনি সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা।

সিনিয়র জুডিসয়িাল মো. গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য করার জন্য কোতয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মিলন আহমেদ।

অভিযুক্ত সৈয়দ মেহেদী হাসান রুদ্র বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার পাতারহাট গ্রামের মৃত সৈয়দ তেফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার ওয়ারী আরকে মিশন রোডের বাসিন্দা।

মামলায় রাশেদুর ইসলাম উল্লেখ করেছেন, ঢাকার এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে লেখাপাড়ার সময় আসামি রুদ্রের সাথে তার পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। রুদ্র ঢাকায় ফায়ার ফ্লাই ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন।

তিনি রাশেদুর ইসলামকে যশোরে একটি শাখা অফিস খোলার পরামর্শ দেন। এরপর রাশেদুর ইসলাম নিজ খরচে যশোর শহরের রেল রোড চার খাম্বার মোড়ে একটি অফিস খোলেন। পরে রাশেদুর ইসলাম বিদেশে যেতে ইচ্ছুক এমন ১৮ জনের পাসপোর্ট আসামি রুদ্রের কাছে জমা দেন। একই সাথে ২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসমি রুদ্রের ব্যাংক হিসাবে মোট ৫৯ লাখ সাড়ে ৬৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু বিদেশে যেতে ইচ্ছুক ১৮ জনকে পাঠাতে ব্যর্থ হয়ে ঘোরাতে থাকেন আসামি রুদ্র।

এক পর্যায়ে আসামি রুদ্র ১০ জনের ভিসা পাঠালেও পরীক্ষা করে তা জাল বলে প্রমাণিত হয়। এসব কারণে তার কাছে ৫৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তিনি পরিশোধ না করে ঘোরাতে থাকেন।

সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি আসামি রুদ্র যশোর অফিসে এলে তার কাছে টাকা ফেরত চান রাশেদুর ইসলাম। এ সময় আসামি রুদ্র টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। যে কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।