কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা॥ সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারি জিকেএমকে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকিবের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ অমান্য করে বহাল তবিয়াতে দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ উঠেছে। গত ৭ মে হাইকোর্টের বিচারপতি জেবি হাসান ও রাজিক আল জলিলের সমন্বিত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এমনকি ওই আদেশে উল্লেখ করা হয় আব্দুর রকিব সাতক্ষীরা আদালতের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন।
মামলার বাদি একই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুর রব জানান, গত ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টার দিকে তিনি তার অফিস কক্ষে চেয়ারে বসে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। এমন সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্কুলের তৎকালীন সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকিব ও সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান ঐক্যবদ্ধভাবে তার কক্ষে প্রবেশ করে তাকে চেয়ারে বসা অবস্থায় লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় তিনি একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ওই বছরের ২০ জুন ৩২৩,৩০৭ ও ৫০৬ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে ওই মামলার সাক্ষী শুনানী শেষে আদালত মামলার ১নং আসামি সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকিবকে ৩২৩ ধারায় ২ মাসের সাজা প্রদান করেন।
তিনি আরও জানান,পরবর্তীতে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোলাইমান খান বরাবর সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুর রকিবের বিরদ্ধে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা সচিব তার জাতীয়করণ স্থগিত এবং এমপিও বাতিল করেন। এরপর তিনি ২০২৩ সালে ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন। যার নং ৫৮৫৯। পরে হাইকোর্ট তাকে গত ৭ মে তারিখে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন এবং ওই আদেশে বলা হয় আব্দুর রকিব সাতক্ষীরা আদালতের মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। তার পরেও তিনি বহাল তবিয়াতে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকিব জানান, আমি হাইকোট থেকে এমন ধরনের কোন আদেশ বা নির্দেশনা পাইনি। তাহলে কেন আমি আমার দায়িত্ব পালন করব না।
স্কুলের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসফিক হোসেন জানান, আমি গতকাল মহামান্য হাইকোর্টের দেওয়া আদেশটি হাতে পেয়েছি। আজ থেকে নিয়ম অনুযায়ী তার ( ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।