যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ, বিদ্যুৎ বিল জটিলতা নিরসন ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্কের মূল ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন ৩৫ জন বিনিয়োগকারী ও তাদের সাথে জড়িত ২ শতাধিক মানুষ। এরপর মিছিল নিয়ে পার্কের মূল প্রবেশ দ্বারের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, যশোর শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাড়া প্রতি স্কয়ার ফুটে ৫ থেকে ১০ টাকার মধ্যে। অথচ সফটওয়্যার পার্কে নেওয়া হচ্ছে ২২ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বিদ্যুৎ বিল দিতে হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বিক্ষোভকারীরা যৌথিক ভাড়া নির্ধারণ ও বিদ্যুৎ বিল সমস্যার সমাধান ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানান। একই সাথে সমস্যা সমাধান না করে কালক্ষেপণ করে বিনিয়োগকারীদের সর্বস্বান্ত করার অভিযোগ এনে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপকের পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।

বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সভাপতি আহসান কবীর, সহসভাপতি ইমানুর রহমান ইমন, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাহজালাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ নাহিদুল ইসলাম, বিনিয়োগকারী জাকারিয়া হোসেন শুভ, ভিক্টও সাহা প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন বিক্ষোভ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক পারভেজ মাহমুদ হিরা।

ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসান কবীর বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল বলেন, প্রায় ৬ মাস হতে চলেছে ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল টেকসিটির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও তা সচল রয়েছে। তারা একের পর এক ব্যবসায়ীকদের সাথে সাংঘর্ষিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আমিরুল ইসলাম কোন বিনিয়োগকারীর সাথে দেখা বা কথা বলেন না। পার্কে নানান অংসগতি থাকলেও তা সুরাহার কোন উদ্যোগ তিনি নেন না। এমনকি যশোর সফটওয়্যার পার্ক পরিদর্শনে এসেও কোন বিনিয়োগকারীর সাথে আলোচনায় বসেননি। অথচ তিনি মিটিং করেন ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল টেকসিটির কর্মকর্তাদের সাথে। ৫ আগস্টের পর কীভাবে ওই ফ্যাসিস দালালরা এখনো এই পার্কে অবস্থান করেন তা যশোরের মানুষ জানতে চান।

এরআগে ১০ দফা দাবিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক যশোরের বিনিয়োগকারীরা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা এক সভায় টেকসিটিকে বাতিল করার সিদ্বান্ত দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি বলেও অভিযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।