রামপালে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর আ.লীগ নেতার হামলা ও গুলি, আটক ২

0

এম এ সবুর রানা, রামপাল (বাগেরহাট) ॥ রামপালে ফের প্রভাব বিস্তার করতে এলাকার বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর দলবল নিয়ে হামলা চালায় উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ। এ সময় তারা এলাকায় তান্ডব চালায় এবং ভয়ভীতি সৃষ্টির জন্য গুলি ছোড়ে।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এ ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রামপাল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারে। মামলা দায়ের করেন উপজেলার বাঁশতলী গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে এসকে আল মামুন। আওয়ামী লীগ নেতার হামলার ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২৬ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাঁশতলী গ্রামের মৃত শেখ আনোয়ার হোসেনের ছেলে রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ আবু সাঈদ গত ৫ আগস্টের পরেও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। তিনি নিজের অবস্থান জানান দিতে এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর প্রভাব বিস্তার করছিল।
ঘটনার দিন গত ১৫ জানুয়ারি উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারে এজাহার নামীয় ২১ জনসহ অজ্ঞাত আসামিরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদান করে। এরপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ বাজারের সোনালী অটো রাইস মিলের সামনে রাম দা, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। এ সময় প্রধান আসামি শেখ আবু সাঈদের হুকুমে অন্যান্য আসামিরা হামলা চালায়। বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন প্রতিহত করার চেষ্টা করলে আবু সাঈদের কাছে থাকা পিস্তল, ২ নং আসামি ও বাঁশতলী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আলী ও ৬ নং আসামির কাছে থাকা শটগ্ন দিয়ে উপুর্যপুরি গুলি ছোড়ে। ঘটনার বেগতিক দেখে জনতা পিছু হটে।
এ সময় তারা পুলিশ ও সেনা সদস্যদের খবর দিলে দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সোনালী অটো রাইস মিলে অভিযান চালিয়ে শটগানের ২৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও এক রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি উদ্ধার করে। এ সময় আবু সাঈদের ছেলে শেখ মাতলুব হোসাইন ও একই এলাকার ইকরামুল হক রাজিবকে আটক করা হয়। ওই সময় কৌশলে প্রধান আসামি আবু সাঈদসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি মো. সেলিম রেজা মামলা দায়ের ও আসামি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অন্য আসামি আটক ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে।