চৌগাছায় তিনটি ইটভাটার মালিক বেপরোয়া কাঠ পুড়িয়ে নষ্ট করছেন পরিবেশ

0

স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় তিনটি ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ভাটা মালিকরা ফসলি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করছেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশেই ধোঁয়া ও ছাই উড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করছেন। এসব এলাকার মানুষ প্রভাবশালী ইটভাটা মালিকদের হাত থেকে পরিত্রাণ চান।
চৌগাছা-পুড়াপাড়া সড়কে কমলাপুর মোড়ে একে একে তিনটি ভাটা গড়ে উঠেছে। ওয়জিউল্লাহ ব্রিকস, সানি ব্রিকস ও হাশেম ইটভাটা। মূলত এই তিনটি ভাটা মৌসুম শুরুর আগে থেকেই মাটি সংগ্রহসহ সব কাজেই চালায় নীরব প্রতিযোগিতা। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের শাসনামলে এই ভাটা মালিকরা বিশেষ করে ওয়াজউল্লাহ ভাটার মালিক জিলান শেখ ও সানি ভাটার মালিক গোলাম রসুল রমরমা ব্যবসা করেছেন এবং এখনও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। ভাটায় পুড়ছে কাঠ, পাশে কিছু কয়লা স্তুপ করে রাখা হয়েছে যা দেখিয়ে ভাটা মালিক পার পেয়ে যান এমনটিই জানান স্থানীয়রা।
এই ভাটার পাশেই অবস্থিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভাটায় পোড়ানো গাছ ও কয়লার ছাই উড়ে পড়ছে বিদ্যালয়ের মাঠে। মাঠেই কোমলমতি শিশুরা খেলাধুলা করে। একই অবস্থা সানি ব্রিকসের। এই ভাটার পাশেই রয়েছে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি। মৌসুম শুরু হলে ভাটার কারণে ফসলের নানা সমস্যা দেখা দেয়। স্থানীয় কৃষকরা নানাভাবে ভাটা মালিকদের সাথে কথা বলেও কোনো প্রতিকার পাননি।
ওয়াজিউল্লাহ ও সানি ভাটার মাঝ খান দিয়ে বয়ে গেছে একটি পিচের সড়ক যা পুড়াপাড়া বাজারের সাথে মিশেছে। এই সড়কটি এখন দেখলে অনেকের বুঝে ওঠা কঠিন এটি পাকা না কাঁচা। ভাটা মালিকরা মাটি কেটে ভাটাতে জড়ো করার সময় সড়কে মাটি পড়ে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঝিরঝির সৃষ্টি হলে চরম ঝঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে ভাটার এলাকার সড়কটি। পথচারী বিল্লাল হোসেন বলেন গত বছরে রাস্তায় মাটি পড়ে থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় কাদা। এসময় মোটরসাইকেল স্লিপ করে পড়ে যায় এবং বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হই। দুটি ভাটার সামনেই কমলাপুর বাজারের অবস্থান। এখানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু ভাটা দুটির কারণে এই বাজারের ব্যবসায়ী এমনকি বাজারে আগত কেউ নিরাপদ নয়। পাশাপাশি তিনটি ভাটায় পাল্লা দিয়ে ইট পোড়ানোর কারনে ধোঁয়া ও ছাই এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে।
এ বিষয়ে ওয়াজিউল্লাহ ব্রিকসের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমরা সব কিছু মেনেই ভাটা পরিচালনা করছি। কোনো কাঠ ভাটায় পোড়ানো হয় না। কয়লার দাম বেশি তারপরও আমাদের মালিক জিলান শেখ কয়লা দিয়েই ইট পোড়ান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর হতে তাদের লাইসেন্স নেওয়া আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহাকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।