চৌগাছায় ড্রাগন বাগান আলোকিত করে বেশি ফলনের আশা

0

 

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর)॥ নিঝুঁম রাত। চারিদিকে ঘোর অন্ধকার। মাঝে মাঝে শোনা যাচ্ছে শিয়ালের হাক। অথচ সেই ফাঁকা মাঠের মাঝখানে চোখে পড়ে আলোর ঝলকানি। চৌগাছার এক সফল ফলচাষি তার ড্রাগন ক্ষেতের পুরোটাই বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করে রেখেছেন। শীতে প্রচন্ড ঠান্ডায় ড্রাগনের ফুল যাতে নষ্ট না হয় তারই জন্যে এই পদ্ধতি। নতুন এই পদ্ধতি অবলম্বন করে অনেকটাই সফল ফলচাষি বাকিবিল্লাহ।
কৃষি প্রধান উপজেলা যশোরের চৌগাছা। এ জনপদের কৃষকরা নতুন নতুন ফসল উৎপাদন করছেন। ভূমিকা রাখছেন অর্থনীতিতে।
উপজেলার সফল ফলচাষি বাকিবিল্লাহ। যার আদী নিবাস সাতক্ষীরা জেলা হলেও বহুকাল আগেই তিনি চৌগাছাতে চলে আসেন। এখানে এসে ফসলি জমি লিজ- বর্গা নিয়ে নানা ধরনের ফসল উৎপাদন করতেন। এরপর শুরু করেন ফলের চাষ। প্রথমদিকে তিনি পেয়ারা ও কুল চাষ করে পান সাফল্য। বর্তমানে তিনি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে অন্তত ১৫ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের পেয়ারা, ড্রাগন, চায়না জামসহ নানা ধরনের ফলের চাষ করেছেন। দিন কিংবা রাত সারাক্ষণই এই ফলচাষির সময় পার হয় কোন না কোন জমিতে। কৃষক বাকিবিল্লাহ সাড়ে তিন বিঘা জমির ড্রাগনে রাতের আঁধারে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন।
এক রাতে কৃষক বাকিবিল্লাহর ড্রাগন ক্ষেত উপজেলার টেংগুরপুর গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেতের চারিদিক আলোয় চকচক করছে। ওই রাতেও কৃষক বাকিবিল্লাহকে তার ক্ষেতে নিজ হাতে কাজ করতে দেখা যায়। এ সময় কথা হয় ফলচাষি বাকিবিল্লাহর সাথে।
তিনি জানান, বছরের পর বছর ধরে নানা ধরনের ফল চাষ করে আসছি। চলতি মৌসুমে তার প্রায় ১৫ বিঘা হরেক রকমের ফল চাষ রয়েছে। এরমধ্যে টেংগুরপুর মাঠে এক জায়গায় আছে সাড়ে তিন বিঘা ড্রাগনের চাষ।
তিনি জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি শীতে দিন ছোট আর রাত বড় হয়। এই সময়ে দিনে তাপমাত্রা বহুলাংশে কম থাকে। আবার রাতে পড়ে ঠান্ডা। যে কারণে ড্রাগন তার স্বাভাবিক ফুল ও ফল দিতে পারেনা। এজন্যে প্রতি রাতে অন্তত ৪/৫ ঘন্টা দিনের আলোর মত জমি আলোকিত করতে পারলে নিশ্চিত ভালো ফলন হবে।
এদিকে ড্রাগন ক্ষেতে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করায় প্রতিদিনই এমনকি রাতেও বিভিন্ন এলাকা হতে কৃষক ও উৎসুক জনতা তার ড্রাগন বাগান পরিদর্শন করছেন।