যশোর বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান, চার জনকে অর্থদণ্ড

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর বিআরটিএ অফিসে বুধবার অভিযান চালিয়েছে দুদক। এ সময় পাঁচ দালালকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে ৪ জনকে অর্থদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক যশোরের উপ-পরিচালক মো. আল আমিন।
দুদক সূত্র জানায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল আহাদ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চারজনকে অর্থদন্ড প্রদান করেন। একজন মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। আদালতে যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া এলাকার গোলাম রব্বানী বিশ্বাসের ছেলে মাহাবুব হাসান শিমুলকে ১০ হাজার টাকা, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে হুমায়ুন কবির মামুনকে ৬ হাজার টাকা, যশোরের অভয়নগর উপজেলার মশরহাটি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আবদুল ওয়াদুদ পলাশকে ৫ হাজার টাকা ও যশোর সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলামকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার হালিমের ছেলে খোকনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
দুদক যশোরের উপ-পরিচালক মো. আল আমিন বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল যশোর বিআরটিএ অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। দালালের মাধ্যমে ঘুষ ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যায় না। বুধবার সকালে দুদকের ছদ্মবেশী টিম পাঠানো হয় বিআরটিএ অফিসে। সেখানে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে সেবা প্রাপ্তির চুক্তি করে দুদক টিমের সদস্যরা। ঘুষ বাণিজ্যে জড়িত দালাল, অফিস কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চিহ্নিত করা হয়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুপুরে দুদকের আভিযানিক টিম সেখানে যায়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিতি ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চার দালালকে অর্থদণ্ড করা হয়। একই সাথে একজনকে মুচলেকা নিয়ে সতর্ক করা হয়।’
তিনি বলেন, বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে দালাল চক্রটি সেবা গ্রহীতাদের জিম্মি করে ঘুষ আদায় করেন। শুধু দালাল চক্র নয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন, উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন, তৌহিদুর রহমান, কৃষপদ বিশ্বাস।